CPIM: আরজিকর কাণ্ডে তৃণমূলে আরও চাপে ফেলার কৌশল, নতুন কর্মসূচি সিপিএমের

কলকাতা: আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি চলছে। অরাজনৈতিক সংগঠনের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলিও নেমেছে এই আন্দোলনে। এই ইস্যুকে সামনে রেখে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে ঘিরতে চাইছে বিরোধীরা। এবার এই আন্দোলনের বৃত্ত বড় করতে আরও বেশি মানুষকে যুক্ত করতে চাইছে সিপিএম।

আগামী ৪ সেপ্টেম্বর রাজ্য জুড়ে আরজি কর কাণ্ডের বিচার ও অপরাধীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সাধারণ মানুষের সই সংগ্রহ করে তা সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার একথা জানিয়ে দেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। একই সঙ্গে আগামীদিনে দলের তরফে আরও বেশ কিছু কর্মসূচি নেওয়া হবে বলেও এদিন জানিয়ে দেন সেলিম৷

দলীয় সূত্রে খবর, কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে অপসারণের দাবি জানিয়ে লালবাজার অভিযান করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে দলের তরফে। একই সঙ্গে তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের দফতর নিজাম প্যালেস অভিযান করার প্রস্তুতি নিতে আলোচনা চালাচ্ছেন নেতৃত্ব।

আরও পড়ুন: মুক্তি পেলেন সায়ন, হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য

আরজিকর কাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। সব রাজনৈতিক দলই বিভিন্ন ভাবে শাসকদলকে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছে। প্রথম থেকেই এই আন্দোলনে সামনের সারিতে থেকেছে সিপিএমের ছাত্রযুব, মহিলা সংগঠন।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের ধারণা আলিমুদ্দিন স্টিট মনে করে আরজিকর কাণ্ডে আন্দোলনের প্রথম থেকেই চালকের আসনে থেকেছে দলের ছাত্র যুব ও মহিলা সংগঠন। ঘটনার পরে পরেই হাসপাতালের উল্টোদিকে কার্যত স্থায়ী মঞ্চ বানিয়ে দিনের পর দিন সেখানে কর্মসূচি নিয়েছে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, দেবাঞ্জন দে, কনীনিকা বোস ঘোষরা। বিভিন্ন অভিযোগে যুব মহিলা সংগঠনের নেতৃত্বের সাতজনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপও করেছে পুলিশ।

পালটা কর্মসূচিও নিয়েছে সিপিএমও। আর সেই আন্দোলনকে সামনে রেখে রাজ্যজুড়ে কর্মসূচি ছড়িয়ে দিতে চেয়েছে জেলা নেতৃত্ব। গণসংগঠনের পাশাপাশি সিপিএমের তরফেও নেয়া হয়েছে কর্মসূচি। গত শনিবার সিপিএম সহ বাম নেতাদের পাশাপাশি কংগ্রেসকেও যুক্ত করে রাসবিহারী থেকে অ্যাকাডেমি পর্যন্ত মিছিল করা হয়। চার তারিখ আবার সই সংগ্রহকে সামনে রেখে সাধারণ মানুষের কাছে প্রচার করার কৌশল নিয়েছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট৷