হাওড়া: এবার আরও জমজমাট হাওড়ার বাজিমেলা! এই মেলায় দারুন চাহিদার সঙ্গে বিক্রি হচ্ছে NEERI স্বীকৃত বিভিন্ন বাজি। কালীপুজো মানেই যেমন আলো, তেমন বাজিও। নানা ধরণের বাজির আলোয় ভরে উঠবে চারিদিক। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়ে গিয়েছে বাজি বিক্রি। ২০১৮ সাল থেকে সূচনা হয় হাওড়ার বাজিমেলা। এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজি মেলার তকমা পেয়েছিল এই মেলা। এবার ২০০-অধিক বাজি স্টল ছিল। এবার হাওড়া বাজি মেলায় স্কাই শট, বাটারফ্লাই, রঙিন ফুলঝুড়ি বাজির দারুন চাহিদা। শুরু থেকেই মানুষের আকর্ষণে এই বাজি মেলা।
এই মেলায় পঞ্চাশটি স্টল। এখানে মহিলা বিক্রেতাদের প্রাধান্য দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। এবার মেলায় প্রায় অর্ধেক অংশ মহিলা বিক্রেতা রয়েছেন। অধিকাংশ বাজি স্টলই এমএসএমই রেজিস্টারভুক্ত। এই বাজার মেলায় শহরের মানুষের অন্যতম আকর্ষণের কারণ হল প্রশাসন স্বীকৃত এই মেলায় পরিবেশবান্ধব বাজি। যেখানে কোনরকম ঝামেলা ছাড়া বাজি ক্রয় করতে পারছেন।
আরও পড়ুন: সকলের জীবন ভরে উঠুক আনন্দের আলোয়! প্রিয়জনদের পাঠান দীপাবলির শুভেচ্ছা
রাজ্য সরকারের নির্দেশমতে বাজি বাজারে শুধুমাত্র সবুজ বাজিই বিক্রি হচ্ছে। বাজি বাজার ছাড়াও হাওড়া শহরের অন্যত্র কেউ বাজি বিক্রি করলে তাঁকে প্রশাসনের নির্দিষ্ট অনুমোদন নিয়ে, তবেই শুধুমাত্র সবুজ বাজি বিক্রি করতে হবে। আর কেউ বেআইনিভাবে বাজি বিক্রি করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে এমনটাই জানালেন এই বাজি মেলার সেক্রেটারি শ্রী সৌমিত্র মণ্ডল।
সারা বাংলা আতসবাজি উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা রায়ের উদ্যোগে শুরু হয়েছে হাওড়া বাজি মেলা। এই মেলার সেক্রেটারি শ্রী সৌমিত্র মণ্ডল। ২৫ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই বাজি মেলা চলবে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। এক কালে আকাশ প্রদীপ, তুবড়ি বানানো, ফানুস উড়িয়ে পালিত হত কালীপুজো। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আজ বাজি বাজার সবুজ বাজি, পরিবেশবান্ধব বাজিতে পৌঁছে গিয়েছে আধুনিকতার হাত ধরে।
সৌমিত্র মণ্ডল আরও জানান, মেলায় এখন ফেভারিট ড্রোন বাজি। এই আতসবাজির এমন চাহিদা যে যোগান দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে দোকানদারদের। প্রতিটি স্টলেই নতুন নতুন বাজি নিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। তবে তার মধ্যে সবথেকে বেশি চাহিদা রয়েছে ড্রোন বাজি, বাটারফ্লাই ও স্কাই শট-এর মতো বাজি। নতুন ধরনের আতসবাজি দিয়ে বাজিমেলা, নিজের পছন্দমতো বাজি কিনতে রোজ সেখানে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। ক্রেতাদের পাশাপাশি বিক্রেতাদের মুখেও দারুন হাসি।
রাকেশ মাইতি