কলকাতা: শহর কলকাতার বুকে ফের অস্বাভাবিক মৃত্যু। কীভাবে ঘটল পুরো ঘটনা? পাঁচ তলায় ঘরের মধ্যে পড়েছিলেন। মাথায় আঘাতের চিহ্ন আছে। সেই আঘাত থেকে রক্তক্ষরণ নাকি নিজে পড়ে গেলেন? না কি কেউ ধাক্কা মেরেছিলেন? না কি কোনও ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে? পুরো ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। তদন্ত করে দেখছেন হোমিসাইড ডিপার্টমেন্টের অফিসাররা।
মৃত অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৫৮ বছর। সকালে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। জোড়াবাগান থানার পুলিশ অফিসার আসেন। মূলত ইন্সুরেন্সের কাজ করতেন তিনি। প্রায় ১৬-১৭ বছর ধরে বিল্ডিংয়ের টপ ফ্লোরে ভাড়া থাকেন। নীচের তলায় থাকেন তাঁর দিদি রত্না ভট্টাচার্য। মূলত দিদির সঙ্গেই তিনি থাকতেন। সূত্রের খবর, তাঁর স্ত্রী সল্টলেকে আলাদা থাকেন। প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল ছিল বলেই জানা গিয়েছে।
প্রতিবেশীরা জানান, গতকালও তাঁকে পাড়ায় চা খেতে দেখা গিয়েছে। কোনওরকম অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যায়নি। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর দিদি চা দিতে গিয়ে দেখেন অভিজিবাবু দরজা খুলছেন না। পিছন দিক দিয়ে ঘুরে গিয়ে অন্য দরজা দিয়ে প্রবেশ করে দেখা যায় অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় রক্তাক্ত অবস্থায় সামনে ঝুঁকে রয়েছেন।মেঝেতে রক্ত রয়েছে। তারপরই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। জোড়াবাগান থানার পুলিশ এসে তদন্ত করছে। হোমিসাইড শাখার অফিসারেরাও আসেন।
পারিবারিক বা সম্পত্তির কারণেও খুন হয়ে থাকতে পারেন বলে সন্দেহ প্রকাশ করা হচ্ছে।