আহমেদাবাদ: ছেলের জন্য পাত্রী খুঁজছিল বাবা-মা৷ বেশ কিছু মেয়ের ছবি ঘরেও আসে৷ তবে ছেলেটি জানত না, ওই মেয়েগুলোর একটা ছবি তার জীবনে সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। আসলে একটি মেয়ে ছেলেটিকে ফোন করে হোটেলের ঘরে একা দেখা করতে বলে। ছেলেটি গেলে তার জীবনে ঝড় নেমে আসে। আসলে মেয়েটি তাকে ব্ল্যাকমেইল করে। এবং বিশাল টাকা আদায় করে নেয়৷
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক পরামর্শদাতা পরিষদের প্রধান বিবেক দেবরায় প্রয়াত! শোকবার্তা মমতারও
গুজরাটের আহমেদাবাদ শহরের ক্রাইম ব্রাঞ্চ পুলিশ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে৷ কারণ তারা এক বাসিন্দাকে মিথ্যা ধর্ষণের মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিয়ে ২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়৷ এর মধ্যে ৫৪ বছর বয়সী একজন সরসপুরের বাসিন্দা এবং ২৪ বছর বয়সী মহিলা চাঁদলোদিয়ার বাসিন্দা। ক্রাইম ব্রাঞ্চের আধিকারিকদের মতে, ১০ অক্টোবর অভিযুক্ত ব্যক্তি ম্যাট্রিনমিতে ছেলের বিয়ের জন্য এই ঠগ মহিলাকেই ফোন করে৷ তারপরের ঘটনা রীতিমতো ভয়ঙ্কর।
মেয়েটি ছেলেটির প্রতি ব্যক্তিগত আগ্রহ দেখিয়েছিল৷ এদিকে অভিযুক্ত অনেক পাত্রীর ছবি ছেলের পরিবারের সঙ্গে শেয়ার করেছিল। এর পরে, একজন মেয়ে অভিযোগকারীর (বরের বাবা-মা) সাথে যোগাযোগ করে। মেয়েটি ফোন করে ছেলেটির সঙ্গে কথা বলতে থাকে। অভিযোগকারী তার ছেলের জন্য সম্পর্ক খুঁজলেও, মেয়েটি ছেলেটির প্রতি ব্যক্তিগত আগ্রহ দেখানোয় পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নেয়৷ তারা মেয়েটিকে একা দেখা করার জন্য বাড়িতে ডাকে। মেয়েটি ছেলেটিকে হোটেলের একটি ঘরে তার সাথে দেখা করার জন্য আমন্ত্রণ জানায়।
আরও পড়ুন: দীপাবলির উৎসবে জোড়া খুন, বাজি ফাটানোর সময় গুলিবিদ্ধ কাকা-ভাইপো! দেখুন ভিডিও
মেয়েটির আমন্ত্রণে ছেলেটি মেয়েটির সাথে দেখা করতে রওনা দেয়। এরপর নির্দিষ্ট হোটেলে পরস্পরের সঙ্গে দেখা করার পর মেয়েটি ছেলেটিকে ফাঁদে ফেলে৷ মিথ্যা ধর্ষনের ভিডিও দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে মামলার হুমকি দিতে থাকে সে৷ এমনকি মিথ্যা ধর্ষণের ভিডিও তার বাড়িতেও পাঠানো হবে বলে জানায় মেয়েটি৷
এখানেই শেষ নয়, মেয়েটি ছেলেটিকে বলেছিল যে, সে ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করবে না এবং ২ লাখ টাকা পেলে ধর্ষণের মামলাও করবে না। এরপর ছেলেটি তার বাবা-মাকে বিষয়টি জানালে তারা থানায় মামলা করেন।
প্রাথমিকভাবে ২ লাখ টাকা দেওয়ার পর ছেলেটির বাবা-মার কাছ থেকে আরও ৫ লাখ টাকা চায় অভিযুক্তেরা। এ সময় নির্যাতিতা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে এবং উভয়ের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও হুমকির অভিযোগে অভিযোগ দায়ের করেন। একটি গোপন তথ্যের ভিত্তিতে, আহমেদাবাদের ক্রাইম শাখার পুলিশ সন্দেহভাজন উভয়কেই তাদের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে এবং আদালাজ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।