বীরভূম: বাইরে ঘুরতে এসেছেন তাহলে বাইরে এসে থাকার পাশাপাশি খাবার তো খেতেই হবে। অনেকের পছন্দ মুড়ি ঘুগনি অনেকের আবার লুচি তরকারি। রাস্তার ধারে কোনও হোটেলে অথবা ফুটপাতে লুচি পরোটা তরকারি খেয়েছেন। তবে যদি এবার আপনি কোটিপতির হাতে লুচি খেতে চাইছেন তাহলে আসতে হবে বীরভূমের কবিগুরুর লাল মাটির শহর বোলপুরের কঙ্কালীতালায়।
তবে এবার আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে হঠাৎ কোটিপতি কেন লুচি বিক্রি করছেন। তাহলে এই প্রসঙ্গে জেনে রাখুন লটারিতে কোটি টাকা জিতেও মাটিতে বসে লুচি ভাজছেন,কোটিপতি ময়রা।মাত্র ৫ সেমের তিনটি টিকিট ১৫০ টাকায় কিনে রাতারাতি কোটপতি হয় গেলেন ময়রা চঞ্চল দে। ৫১ পীঠের অন্যতম সতীপীঠ বোলপুর কঙ্কালীতালাতে তার ছোট একটি মিষ্টি লুচি এবং তেলে ভাজার দোকান রয়েছে।
সেখানেই দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করেন তিনি। তবে হঠাৎ কোটিপতি হওয়াতে আগত পর্যটকেরা এবং স্থানীয় বাসিন্দারা দোকনের নতুন নাম দিয়েছে কোটিপতির মিষ্টির দোকান। কোটিপতি হবার পরেও আজও তিনি মাটিতে বসে লুচি জিলাপী ভাজছেন,এমনকী দোকানে ক্রেতাদের আগের মতই পরিষেবা ও দিচ্ছেন।কোটিপতি চঞ্চল দে জানান যে উনি আগের মতই তাদের পূর্বপরুষের দোকান এভাবে চালিয়ে যাবেন।
পরিবারে ৪ সদস্য ছেলে -ও মেয়েদের ভবিষ্যতের চিন্তা তার মেয়ে এই মহুর্তে M.A পড়ছেন।তার মেয়েকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার পাশাপাশি তার একটা বাড়ির করার ইচ্ছা,আমড়হরা গ্রামে।দোকানে খেতে আসা আমজনতা বলছেন এটা সুখবর তো অবশ্যই ,মা কঙ্কালীর কৃপায় হয়েছে সব কিছু।আমরা কোটিপতির হাতে লুচি,ঘুগনী ,চা মিষ্টি খেতে পাচ্ছি।
সৌভিক রায়