সারাদেশে বর্ষা বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরে আবারওএকটি নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছে। যা প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।দিল্লি, রাজস্থান এবং পাঞ্জাব-সহ অনেক রাজ্য থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু বিদায় নিয়েছে। এদিকে মৌসুমী তৎপরতার কারণে ভারতের সাগর উপকূলে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির পরিস্থিতিও অনুকূল হতে শুরু করেছে।আইএমডি সূত্রে খবর, আরব সাগরে সাধারণত এই মৌসুমে অগ্রসর হয় এবং এর পর বঙ্গোপসাগরেও একই ধরনের গতিবিধি দেখা যায়। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে, উপকূলের উভয় পাশে একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছিল।এছাড়াও ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে, বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরে অনেকগুলি তীব্র ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছিল। এই ঝড়গুলির মধ্যে, একটি খুব বিপজ্জনক ঘূর্ণিঝড় তেজ ২০২৩ সালের ২০ থেকে ২৪ অক্টোবরের মধ্যে আরব সাগরে তৈরি হয়েছিল।এর পরে, ২১ থেকে ২৫ অক্টোবর ২০২৩-এর মধ্যে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় হাইমুনও তৈরি হয়েছিল। তবে এই দুটি ঝড় ভারতে খুব একটা ধ্বংসযজ্ঞ চালায়নি। কারণ, ঘূর্ণিঝড় তেজ ইয়েমেনের দিকে অগ্রসর হয়েছিল এবং ঘূর্ণিঝড় হামুন বাংলাদেশের কক্সবাজারে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল।আরব সাগরে বর্ষা-পরবর্তী ঝড়ের সম্ভাবনার প্রাথমিক ইঙ্গিত পাওয়া গেছে । দক্ষিণ-পূর্ব আরব সাগর এবং লাক্ষাদ্বীপ এলাকায় ঘূর্ণিঝড় সঞ্চালনের একটি এলাকা তৈরি হয়েছে। এটি আসন্ন ঘূর্ণিঝড়ের আগাম লক্ষণ দিচ্ছে। বর্ষা মৌসুমের পর এটিই হতে চলেছে ২০২৪ সালের প্রথম ঝড়।১০ থেকে ১১ অক্টোবরের দিকে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে শুরু করবে। এটি ১২ অক্টোবর পর্যন্ত অর্থাৎ প্রায় ৪ দিন ধরে সমুদ্রের এই অংশের উপর ঘুরতে থাকবে। এর পর সঞ্চালন আরও তীব্র হয়ে গভীর সমুদ্রের দিকে অগ্রসর হবে বলে আশা করা হচ্ছে।তবে আইএমডি-র পূর্বাভাস স্পষ্ট করে দিয়েছে যে সম্ভাব্য ঝড় সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেওয়া এখনই সম্ভব নয়। বাংলায় প্রভাব পড়বে না বলেই পূর্বাভাস। বর্ষার পর আরব সাগরের ঝড় ওমান, ইয়েমেন ও সোমালি উপকূলের দিকে অগ্রসর হয়। তবে তাদের দিক পরিবর্তন করে গুজরাটের দিকে যাওয়ার অনেক সম্ভাবনা রয়েছে।
