দক্ষিণবঙ্গ Cyclone Dana Updates: ধেয়ে আসছে দুর্যোগের ঘন কালো মেঘ, আগামী ২৪ ঘণ্টায় উলটপুরাণ, দানবের মতো দাপিয়ে বেড়াবে সাইক্লোন, সাবধানে থাকুন Gallery October 20, 2024 Bangla Digital Desk আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তর আন্দামান সাগরের ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হবে৷ মঙ্গলবার সকালে এই সিস্টেম গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। বুধবার বঙ্গোপসাগরে তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়। বৃহস্পতিবার এটি উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ওড়িশা ও বাংলা উপকূলের কাছাকাছি চলে আসবে। এহেন পরিস্থিতিতে বাংলার দিকে ধেয়ে আসছে দুর্যোগের ঘন কালো মেঘ। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ধীরে ধীরে শক্তি সঞ্চয় করে রবিবার নিম্নচাপের আকার নেবে আন্দামান সাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তটি। এরপর সোমবার রাতে তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। পরে তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে দাবি করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২৪ অক্টোবর সকালে উপকূলের কাছাকাছি এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় হতে পারে। এর ফলে আপাতত আন্দামান সাগর উত্তাল থাকবে। এরপর ক্রমেই শক্তি বাড়িয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হলে উত্তাল হবে বাংলার উপকূলের সমুদ্রও। আলিপুর হাওয়া অফিস এখনও ল্যান্ডফল সম্পর্কে কোনও তথ্য না থাকলেও ইউরোপিয়ান মডেল গুলো জানাচ্ছে ওড়িশার ভুবনেশ্বর থেকে খুলনার মধ্যে এই ল্যান্ডফলে সম্ভাবনা বেশি। এর মধ্যে ওড়িশার পারাদ্বীপ অথবা বাংলাদেশের সাতক্ষীরা দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি।ঝাড়খণ্ড এবং দক্ষিণ পশ্চিম বাংলাদেশের একাংশে প্রবল বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে মৎস্যজীবীদের জন্য সতর্কবার্তা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। ২১ তারিখ অর্থাৎ সোমবার থেকে গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ২২ তারিখের মধ্যে উপকূলে ফিরে আসতে পরামর্শ। ২৩ অক্টোবর বুধবার থেকে ২৬ শে অক্টোবর শনিবার সকাল পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ২১ তারিখ, মঙ্গলবার থেকে উপকূলে প্রভাব পড়তে শুরু করবে। পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে ঝরো হাওয়া ও বৃষ্টি শুরু হতে পারে। বুধবার ও বৃহস্পতিবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। বুধবার ভারী বৃষ্টি হবে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। বৃহস্পতিবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। ভারী বৃষ্টি হবে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা এবং ঝাড়গ্রাম। এর জেরে ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ কাঁচা ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। নিচু এলাকা প্লাবিত হতে পারে। ফসলের ক্ষতি হতে পারে। ঝোড়ো হাওয়ায় উপকূল সংলগ্ন জেলাগুলিতে যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হতে পারে। সমুদ্রের জল ভেড়িতে ঢুকে যেতে পারে। কাঁচা বাঁধের ক্ষতি হতে পারে। আমন খান ও আলু চাষে ক্ষতি হতে পারে।