দিঘা: ক্যানসেল হোটেল বুকিং, পর্যটকদের হোটেল খালি করার নির্দেশ! পাওয়া যাবে না দু’দিন হোটেল। পর্যটকদের ছেড়ে দিতে হচ্ছে হোটেল। ভ্রমণ প্রিয় বাঙালির পছন্দের বাড়ানোর জায়গার তালিকায় শীর্ষে আছে দিঘা। বাঙালি সুযোগ পেলেই দিঘা বেড়াতে আসে।দিঘা সমুদ্রে স্নান কর্মব্যস্ততার মাঝে পরিপূর্ণ রিফ্রেশমেন্ট। কিন্তু সেই দিঘায় পর্যটকদের খালি করতে হচ্ছে হোটেল। এমনকী আগামী দু’দিন পাওয়া যাবে না দিঘায় কোনও হোটেল। প্রশাসনের তরফ থেকে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা হিসেবে বুধবার বিকেলের আগেই পর্যটকদের হোটেল খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড় বুধবার মধ্য রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস।হাওয়া অফিসে রিপোর্টে জানা যায়, এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় পার্শ্ববর্তী রাজ্য ওড়িশার ভদ্রকের কাছাকাছি জায়গায় ল্যান্ড ফল করবে। ল্যান্ডফলের সময় এটি হবে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়।পার্শ্ববর্তী রাজ্য ওড়িশাতে এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়লেও এই ঘূর্ণিঝড় প্রভাব ফেলবে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে। সেই মতো আগাম প্রস্তুত রাজ্য প্রশাসন।হাওয়া অফিসের রিপোর্টে জানা যায়, বুধবারই বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে চলেছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ঘন্টা ১২০ কিলোমিটার। ইতিমধ্যেই উত্তাল হয়ে উঠেছে সমুদ্র। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন সতর্কতা হিসাবে দিঘায় সমুদ্র সৈকত জুড়ে মাইকিং এর পাশাপাশি দড়ির ব্যারিকেড গড়ে তোলা হয়েছে।অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাস দেখার জন্য বহু পর্যটক পাড়ি জমিয়েছে দিঘায়। কিন্তু পর্যটকদের হোটেল খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বুধবার বিকেলের আগেই। এমনকী ২৩ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত নতুন করে কোনও হোটেল বুকিং না নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে হোটেল মালিকদের।ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’-র প্রভাবে বুধবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায় আবহাওয়া পরিবর্তন। বুধবার দক্ষিণবঙ্গের পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে জানা যায় হাওয়া অফিসের রিপোর্টে।সতর্ক প্রশাসন, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক জানান, বুধবার দুপুরের মধ্যেই পর্যটকদের হোটেল খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া উপকূলবর্তী এলাকায় ইতিমধ্যেই সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা ভেবে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন উপকূলবর্তী এলাকার সাধারণ মানুষ ও পর্যটকদের সুরক্ষা নিয়ে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আর পর্যটকদের সুরক্ষায় হোটেল খালি করে বাড়ি ফিরে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। -সৈকত শী
