বাঁকুড়া: দানার প্রভাব সুস্পষ্টভাবে বোঝা গেল বাঁকুড়া জেলায়। দিনভর বৃষ্টির পাশাপাশি জল জমেছে সমগ্র জেলাতে। চাষ জমি জলের তলায়। কিছু পায়ে হাটা ব্রিজ রয়েছে যেগুলি প্রায় ডুবতে বসেছে।
দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় যেমন বাঁকুড়া,ঝাড়গ্রাম,পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর ও দুই চব্বিশ পরগনায় বৃষ্টি চলেছে দিনভর। প্রশাসনের তরফ থেকে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছিল। মোতায়েন করা হয়েছিল দুটি আপতকালীন ট্রাক। তবে প্রকৃতিকে সামলানো বড় মুশকিল।
আরও পড়ুন- বাইক, স্কুটি বিক্রি হচ্ছে ফ্লিপকার্ট, অ্যামাজনে! অনলাইন কিনলে লাভ কী? জেনে নিন
জেলার বিভিন্ন অংশে বেড়েছে জলস্তর। বাঁকুড়া জেলার নিম্নভূমি অঞ্চল গুলিতে প্রভাবিত হয়েছে চাষাবাদ। দানার প্রভাবে অতি বৃষ্টির ফলে বাঁকুড়ার কোতুলপুর ব্লকের মির্জাপুর পঞ্চায়েতের হরিরচক গ্রামে কংসাবতী ক্যানেলপাড় এলাকায় ভাঙন দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার থেকেই ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে দফায় দফায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে বাঁকুড়া জেলা জুড়ে। যার ফলে কংসাবতী ক্যানেলে ব্যাপক জলস্রোত বাড়ায় মাটির বাঁধ ভেঙে প্লাবন পরিস্থিতি তৈরি হয় হরিরচক গ্রামে।
আরও পড়ুন- আইফোনকে টেক্কা দেবে ‘পাইফোন’! সিম লাগবে না, দিতে হবে না চার্জ! কত দাম?
স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেন কোতুলপুর প্রশাসনকে। খবর পেয়ে ঘটনার পরিদর্শনে যান প্রশাসনিক আধিকারিকেরা এবং যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করা হয়। তবে প্লাবনের চিত্র বেশ জোড়ালো ধরা পড়ে।
মির্জাপুর পঞ্চায়েত এলাকায়, কোতুলপুর ব্রাঞ্চ ক্যানেলে ৬২০ চেনের লেফট ফ্ল্যানকে একটি ভাঙন দেখা যায়। এই ভাঙনের ফলে তৎপর হয় প্রশাসন।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী