খুশকি চুলের একটি চিরন্তন সমস্যা৷ আমাদের মধ্যে অনেকেই এই সমস্যায় ভুগে থাকেন৷ চুলে খুশকি থাকলে কালো জামা পরা রীতিমতো অস্বস্তির হয়ে ওঠে৷ অফিসে হোক কী সোশ্যাল অকেশনে, কালো জামা পরার কথা আমরা কার্যত ভাবতেই পারি না৷অনেক সময়েই দেখা যায় বিজ্ঞাপনে দেখা, বা বাজার চলতি প্রসাধনী দ্রব্য ব্যবহার করেও খুশকির সমস্যা থেকে মুক্তি পাই না আমরা৷ অনেক সময়ই চুল এতে অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে ওঠে৷ এই প্রতিবেদনে আমরা খুশকি নিরাময়ের এমন একটি ঘরোয়া পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব যা আপনার চুলের উজ্জ্বলতাও দ্বিগুণ করে তুলতে পারে৷প্রথমেই উপ করণ হিসাবে লাগবে তিনটি জিনিস৷ আধা কাপ ভিনিগার, হাফ কাপ শুদ্ধ জল এবং একটি স্প্রে বোতল৷ https://pharmeasy.in/- এর একটি প্রতিবেদনে ডাঃ নিকিতা তোশী জানাচ্ছেন, ভিনিগারে এমন কিছু মেডিক্যাল প্রপার্টি রয়েছে যা স্ক্যাল্পে থাকা খুশকি সৃষ্টিকারী ফাঙ্গাসের সংগ্রমণ প্রতিরোধ করে৷এছাড়া, পরিমিত পরিমাণে ভিনিগার লাগালে স্ক্যাল্পের চুলকানি, ফুসকুড়ির মতো সমস্যার প্রতিকার পাওয়া যায়৷ভিনিগারের দ্রবণ তৈরির পদ্ধতি: প্রথমে একটি স্প্রে বোতল নিন এবং তাতে আধা কাপ সাদা ভিনেগার দিন। তারপরে একই পরিমাণে আধা কাপ RO জল বা পাতিত জল যোগ করুন। আপনার খুশকি দূর করার সমাধান প্রস্তুত।প্রয়োগের পদ্ধতি- সকালে স্নান করতে যাওয়ার আকে এই ভিনেগারের দ্রবণ চুলের গোড়ায় ভালভাবে স্প্রে করুন৷ তারপরে রেখে দিন এক ঘণ্টা বা আধা ঘণ্টা।এবার আঙুলের সাহায্যে চুলের গোড়ায় আলতো করে ম্যাসাজ করুন। তারপর স্নান করে নিন৷ যদি আপনার চুল শুষ্ক হয়, তাহলে দুই ফোঁটা নারকেল তেল যোগ করতে পারেন এই দ্রবণে। এইভাবে আপনার চুল সবসময় নরম এবং সিল্কি থাকবে।আপনি চাইলে ধোয়া চুলে দ্রবণ স্প্রে-ও করতে পারেন৷ তারপর চুল আঁচড়ে নিন। না ধুলেও চুলের ক্ষতি হবে না। বরং সারাদিন আপনার চুল ঝরঝরে ও চকচকে দেখাবে।তবে, এই পদ্ধতি ব্যবহারের আগে দ্রবণটি নিয়ে একবার প্যাচ টেস্ট অবশ্যই করে নিন। কোনও ধরনের সমস্যা বা ত্বকে অ্যালার্জি দেখা দিলে অবিলম্বে ব্যবহার বন্ধ করে ঠান্ডা জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।Disclaimer: এই প্রতিবেদনে থাকা তথ্যের সত্যতা নিউজ ১৮ বাংলা নিশ্চিত করে না৷ প্রত্যেকের শরীর এবং সমস্যার ধরন ভিন্ন৷ যে কোনও নতুন জিনিস নিজে নিজে ব্যবহার করতে যাবেন না৷ ব্যবহারের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন৷