২ লাখ টাকা কাঠার জমি বিক্রি হচ্ছে ২৫ লাখে

এইমস তৈরির অনুমোদন মিলতেই জমির দাম আকাশ ছুঁয়েছে, ২ লাখ টাকা কাঠার জমি বিক্রি হচ্ছে ২৫ লাখে

Report: Abhinav Kumar

দ্বারভাঙ্গা: দ্বারভাঙ্গায় তৈরি হবে এইমস। অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে জমি। এই খবর সামনে আসার পর থেকেই আশপাশের এলাকায় জমির দাম বাড়তে শুরু করেছে। অন্য রাজ্যের মানুষও এখানকার জমি কিনতে চাইছেন।

দ্বারভাঙ্গায় এটা হতে চলেছে বিহারের দ্বিতীয় এইমস। ইতিমধ্যেই টেকনিক্যাল টিম জমি চূড়ান্ত করে অনুমোদন দিয়েছে। জানা গিয়েছে, জায়গাটা শহর থেকে মাত্র ৬ কিলোমিটার দূরে। আগে এটা অনগ্রসর এলাকার অন্তর্ভুক্ত ছিল।

আরও পড়ুন– নিরামিষ বলে নন ভেজ বিরিয়ানি! শামলিতে ধুন্ধুমার, ভয়ে পালালেন বিক্রেতা

এইমস নির্মাণের জন্য একমি থেকে শোভন রাস্তা বরাবর বালিয়া মৌজার জমি বেছে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের টেকনিক্যাল টিম। এরপর থেকেই এই এলাকার জমির দাম প্রায় ১০ গুণ বেড়ে গিয়েছে।

এক কাঠা জমির দাম ২ লাখ টাকা থেকে সোজা ২৫ লাখ: স্থানীয় বাসিন্দা সুধীর কুমার জানান, এইমস তৈরি হলে এই এলাকায় প্রচুর কর্মসংস্থান হবে। আশপাশের মানুষ যাঁরা অন্য রাজ্যে কাজ করতে যেতেন, তাঁরা এখন নিজের এলাকাতেই চাকরি করার সুযোগ পাবেন। বড় বড় হোটেল, শপিং মল, অ্যাপার্টমেন্ট তৈরি হবে। সব মিলিয়ে এলাকার ভোল পাল্টে যাবে। তাই জমির দামও বাড়ছে।

আরও পড়ুন- মাত্র ১ বছরে পরপর ১৪টি হিট, অমিতাভ বচ্চনের থেকেও নিতেন বেশি পারিশ্রমিক! বলিউডের এই ফ্লপ হিরোই আজ ১৬৫০ কোটির মালিক

সুধীর আরও জানান, এখানে জমির দাম কাঠা প্রতি ২ লাখ টাকা ছিল। এখন দাম বেড়ে হয়েছে ২০ লাখ টাকা। যেখানে এইমস তৈরি হবে, সেই জায়গা থেকে শুরু করে ভারাউল চক পর্যন্ত রাস্তার ধারের জমি বিক্রি হচ্ছে কাঠা প্রতি ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকায়। ভাড়াউল চক থেকে মুস্তাফাপুর পর্যন্ত জমির দাম ছুঁয়েছে ২০ থেকে ২২ লাখ টাকা কাঠা। মুস্তাফাপুর থেকে একমি সড়ক পর্যন্ত কাঠা প্রতি জমির দাম ২২ থেকে ২৫ লাখ টাকায় পৌঁছেছে।

এলাকার আরেক বাসিন্দা রামনরেশ যাদব বলছেন, এইমস তৈরি হলে শুধু দ্বারভাঙ্গা নয়, সমষ্টিপুর, মধুবনি, বেগুসরাই, সীতামারহি, মুজাফফরপুর, বেত্তিয়া, চম্পারন, পূর্ণিয়া, মাধেপুরার মতো জেলাগুলি থেকে আগত রোগীরাও উপকৃত হবেন। প্রতিবেশী দেশ নেপালের নাগরিকরাও সুফল পাবেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জমির বিপুল দাম পাচ্ছেন। এইমস নির্মাণের অনুমোদন মেলার পর থেকেই এই এলাকায় উন্নয়ন শুরু হয়েছে।