উত্তর দিনাজপুর: কালী পূজো উপলক্ষে চাহিদা বেড়েছে মোমবাতির। জোর কদমে চলছে মোমবাতি তৈরির কাজ। আর কদিন বাদেই দীপাবলি। আর দীপাবলি মানেই আলোর উৎসব। এদিন বাড়িতে বাড়িতে প্রদীপ ও মোমবাতি জ্বালিয়ে আলোর উৎসবে অন্ধকার দূর করার রীতি রয়েছে। তাই এই সময় বাজারে মোমবাতির চাহিদা থাকে তুঙ্গে।
প্রতিবারের মতো তাই এবারও মোমবাতি তৈরি করতে ব্যস্ত রায়গঞ্জে বিভিন্ন মোমবাতির কারখানাগুলি। জানা যায়, একটি মোমবাতি তৈরি করতে সময় লাগে ৫ থেকে ৭ মিনিট। মোমবাতি তৈরি শুরু হয় গরম ওভেনে মোমকে গলিয়ে। মোম তরল হয়ে গেলে বালতি করে তা নিয়ে যাওয়া হয় মোমবাতি তৈরির জন্য। তারপর কারিগর একটি ডাইসের মধ্যে সুতলি পড়াতে থাকেন। সাদা সেই সুতলিটি হল মোমবাতির সলতে। সুতলি পরানো হয়ে গেলে ডাইসটিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপর উপরের ফাঁকা অংশ দিয়ে তার ভেতরে ঢালা হয় গরম তরল মোম। মিনিট পাঁচেক রেখে দেওয়ার পরেই তরল মোম জমে শক্ত হয়ে যায় এবং আকার নিয়ে নেয় একটি মোমবাতির।
আরও পড়ুনঃ KKR News: কেকেআরে বড় বদল! বাদের খাতায় পুরো ৫ বিদেশী তারকা! কী পরিকল্পনা নাইটদের
মোমবাতি তৈরি করে কারিগররা ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা প্রতিদিন লাভের মুখ দেখেন। দীপাবলি উপলক্ষে ৩০ রকম ছোট থেকে বড় মোমবাতি তৈরি হচ্ছে। সারা বছর খুব বেশি চাহিদা না থাকলেও দীপাবলিতে চাহিদা বেড়ে যায় এই মোমবাতির। তবে এ বছর কিছুটা দাম বাড়তে পারে মোমবাতির। প্যাকেট প্রতি ২ থেকে তিনটাকা দাম বাড়তে পারে বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
পিয়া গুপ্তা