ডেঙ্গির উপসর্গ ও প্রতিরোধের ব‍্যবস্থা

Dengue Precaution Tips: ডেঙ্গির প্রকোপ অব্যাহত, সুস্থ থাকতে বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জানুন উপসর্গ ও প্রতিরোধের ব্যবস্থা

আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। এখন যেমন হালকা সিরসিরে শীতলতায় ঠান্ডা, কাশি ও জ্বরে মানুষ ভুগছে। এসব রোগের মধ্যে ডেঙ্গির আতঙ্কও মানুষকে বিপাকে ফেলছে। হাসপাতালগুলোতে ক্রমাগত বাড়ছে ডেঙ্গি রোগীর সংখ্যা। ডেঙ্গি এমন একটি রোগ, যা একজন মানুষকে শারীরিকভাবে খুবই দুর্বল করে দেয়। তাই সময়মতো এই রোগ প্রতিরোধ করা জরুরি, যাতে শরীর সুস্থ রাখা যায়।

ডা. সৌরভ সিংয়ের, এমবিবিএস, মেডিকেল অফিসার, সিএইচসি শিবগড়, রায়বরেলি চিকিৎসাক্ষেত্রে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি লোকাল 18-কে জানিয়েছেন যে, ডেঙ্গি হল মশা দ্বারা সৃষ্ট একটি বিপজ্জনক জ্বর। যা সঠিক সময়ে ধরা না পড়লে, মারাত্মকও হতে পারে। এটিকে সাধারণ ভাষায় “ব্রেক বোন ফিভার”ও বলা হয় এবং এই জ্বর ব্যক্তিকে বেশ কয়েকদিন ধরে কষ্ট দেয়।

আরও পড়ুনঃ বিষব্যথায় কাঁদাচ্ছে? খুব বেড়ে গেছে ইউরিক অ‍্যাসিড? এই ৫ কাজ করলেই মাত্র ১০ দিনেই ভ্যানিশ গাঁটে-গাঁটে যন্ত্রণা!

ডেঙ্গির প্রাথমিক লক্ষণ –

ডা. সৌরভ সিংয়ের মতে, সংক্রামিত মশার কামড়ের ৪ থেকে ১০ দিন পরে ডেঙ্গির লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। যদি একজন ব্যক্তির নিম্নলিখিত আটটি উপসর্গের মধ্যে কোনও লক্ষণ দেখায়, তাহলে তাঁকে অবিলম্বে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগাযোগ করতে হবে এবং চিকিৎসা শুরু করতে হবে:

১) উচ্চ জ্বর
২) মাথাব্যথা
৩) চোখের পিছনে ব্যথা
৪) পেশি এবং জয়েন্টগুলোতে ব্যথা
৫) ক্লান্তি এবং দুর্বলতা
৬) বমি বমি ভাব
৭) ত্বকে লাল ফুসকুড়ি
৮) নাক বা মাড়ি থেকে রক্ত পড়া

ডেঙ্গির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও পদক্ষেপ সম্পর্কে ব্যাখ্যা করেছেন৷ তিনি জানিয়েছেন যে –

মশা থেকে সুরক্ষা পাওয়ার জন্য –

১) শরীর ঢেকে রাখে এমন পোশাক পরা উচিত।
২) মশা নিরোধক ব্যবহার করা উচিত।
৩) ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করা উচিত, বিশেষ করে যদি ঘরে অনেক মশা থাকে।

মশার বংশবৃদ্ধি প্রতিরোধ করা –

১) বাড়ির ভিতরে এবং আশেপাশে জল জমতে দেওয়া উচিত নয়। কারণ মশা স্থির জলে ডিম পাড়ে। পুরনো টায়ার, কুলার, ফুলদানি ইত্যাদিতে জমে থাকা জল নিয়মিত খালি করতে হবে।
২) জলের ট্যাঙ্ক বা পাত্র ঢেকে রাখতে হবে, যাতে মশা ডিম পাড়তে না পারে।

অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা –

১) দরজা-জানালায় মশারি বা জাল লাগানো উচিত।
২) মশা তাড়ানোর ক্রিম, স্প্রে বা কয়েল ব্যবহার করা উচিত।
৩) বাড়ির আশেপাশের ঝোপঝাড় ও ঘাস সময়ে সময়ে কাটা উচিত। যাতে মশা বংশবিস্তার করতে না পারে।

ডেঙ্গির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা –

ডা. সৌরভ সিং জানিয়েছেন যে, ডেঙ্গি হলে শরীরকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দেওয়া উচিত এবং যতটা সম্ভব তরল (যেমন জল, নারকেল জল, জুস, স্যুপ) খাওয়া উচিত। কারণ ডেঙ্গির সময় শরীরে জল কমে যায় এবং এর ঘাটতি হতে পারে। তাই এই সময়ে হাইড্রেটেড থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে, যাতে প্লেটলেটের সংখ্যা নিরীক্ষণ করা যায়।