High Income Economy: ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ, আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা! তবুও উচ্চ আয়ের অর্থনীতি হিসেবে উঠে এল রাশিয়ার নাম

রাশিয়া: ইউক্রেনের সঙ্গে টানা যুদ্ধ চলছে। একাধিক নিশেষজ্ঞা চাপিয়ে রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমি বিশ্ব। কিন্তু তারপরেও কাবু করা যায়নি রাশিয়াকে। বিশ্ব ব্যাঙ্কের র‍্যাঙ্কিং অনুযায়ী, মধ্যম আয়ের অর্থনীতি থেকে উচ্চ আয়ের অর্থনীতিতে উঠে এল পুতিনের দেশ।

প্রতিটি দেশের আয় অনুযায়ী তালিকা তৈরি করে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। প্রতি বছর ১ জুলাই সেই তালিকা প্রকাশ করা হয়। আগের বছরের মাথাপিছু মোট জাতীয় আয়ের উপর ভিত্তি করে এই তালিকায় উচ্চ আয়ের অর্থনীতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে রাশিয়া।

কীভাবে যুদ্ধ সামলে আয় বাড়াচ্ছে রাশিয়া: বিশ্ব ব্যাঙ্কের মতে, রাশিয়ার অর্থনীতিতে সামরিক কার্যকলাপের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। অন্য দিকে, বাণিজ্য (৬.৮ শতাংশ), আর্থিক খাত (৮.৭ শতাংশ) এবং নির্মাণ শিল্পেও (৬.৬ শতাংশ) বিপুল প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এই কারণগুলিই রিয়েল (৩.৬ শতাংশ) এবং নমিনাল (১০.৯ শতাংশ) জিডিপিকে বাড়িয়েছে। রাশিয়ার অ্যাটলাস জিএনআই মাথাপিছু ১১.২ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

আরও পড়ুন: হারতে চলেছেন ঋষি সুনক? ‘৪০০ আসন পার’ করে সমীক্ষায় লেবার পার্টির জয়ের ইঙ্গিত…ব্রিটেনে শুরু ভোট

গত মাসে ইকোনমিক টাইমস-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ ও প্রিমাকভ ন্যাশনাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট অফ ওয়ার্ল্ড ইকোনমি অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনের প্রেসিডেন্ট এবং অধ্যাপক আলেকজান্ডার ডিনকিন বলেছিলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যে ধরণের আর্থিক এবং অর্থনৈতিক আগ্রাসন চালানো হয়েছে, বিশ্বের কোনও একক অর্থনীতির দেশ এমনকি, চিনকেও এমন সমস্যার মুখে পড়তে হয়নি।

ডিনকিনের কথায়, “শক্তি সম্পদ, কাঁচামাল ও খাদ্য উৎপাদনে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমাদের দক্ষ শ্রমবাজার রয়েছে। আমাদের মৌলিক বিজ্ঞান বিশ্বমানের। জাতীয় উদ্ভাবন ব্যবস্থা দেশকে সফলভাবে প্রযুক্তিগত সার্বভৌমত্বে পৌঁছে দিয়েছে”।

আরও পড়ুন: অসুস্থ মুকুল রায়, বাড়িতে পড়ে গিয়ে চোট! রাতেই ভর্তি করা হল হাসপাতালে

গত মাসে সেন্ট পিটার্সবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ফোরামে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন, ব্যাপক আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়ার অর্থনীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে আর্থিক সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে।

রাশিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রধান চালিকাশক্তি ইউক্রেনের লড়াই। আশ্চর্য মনে হলেও এটাই সত্যি। এই লড়াই ক্রেমলিনের কাছে যতটা অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ, রাজনৈতিক গুরুত্বও ততটাই। আমদানির জন্য রাশিয়া নতুন দেশ খুঁজে নিয়েছে। বিশ্বের নামী ব্র্যান্ড রাশিয়া ছাড়লেও দেশের মধ্যে থেকেই নতুন কোম্পানি উঠে এসেছে। শূন্যস্থান পূরণ হয়ে গিয়েছে। ধীরে ধীরে শক্তিশালী অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে রাশিয়া।