কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে ধনতেরাস উৎসব উদযাপিত হয়। এই দিনটি দেবী লক্ষ্মী, ভগবান কুবের এবং আয়ুর্বেদের ভগবান ধন্বন্তরীর পুজোর জন্য বিশেষ। এবার ধনতেরাসের মহা উৎসব ২৯শে অক্টোবর এবং এই দিনে একাধিক গ্রহের এক অপূর্ব মিলন ঘটছে।
জ্যোতিষীদের দাবি, ১০০ বছর পর ধনতেরাসে এমন কাকতালীয় ঘটনা ঘটছে, যা এই দিনটিকে আরও বেশি শুভ করে তুলছে। ধনতেরাসের এই শুভ দিনে সোনা, রূপো, গহনা এবং দামী জিনিস কেনার চল রয়েছে বহুদিন ধরে।
মানুষের গভীর বিশ্বাস আছে যে বাড়িতে নতুন জিনিস আনা হলে দেবী লক্ষ্মী ঘরে সমৃদ্ধি আনেন। ধন ত্রয়োদশীতে সোনা বেশি কেনা হয়। সিদ্ধান্ত শর্মা লক্ষ্মী নরসিংহ চারি বলেন, যারা সোনা কিনতে পারেন না, তারা লবণ বা গুড় কিনতে পারেন।
লবণ ও গুড়কে প্রকৃত আম্মাভারুর (মা) প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাই যারা ধন ত্রয়োদশীর দিনে সোনা কিনতে পারেন না তাদের জন্য এগুলো কেনাই যথেষ্ট বলে মনে করা হয়। মাত্র ১০ টাকার এই জিনিসই ধনতেরাসে মালামাল করে দেবে আপনাকে৷
ধন ত্রয়োদশীর দিনেও ভগবান ধন্বন্তরী পুজো করা হয়। এই দিনে খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে নতুন পোশাক পরে লক্ষ্মী দেবীর মূর্তি স্থাপন করা উচিত। ঘরে থাকা সোনা-রূপার গয়না দুধ দিয়ে ধুয়ে জল দিয়ে পরিষ্কার করুন। ধন লক্ষ্মীর পুজোয় এগুলো রাখুন।
দেবী লক্ষ্মীকে আরতি দেওয়ার সময় গহনাও দিতে হবে। এর পরে, হলুদ, জাফরান, ফুল, ফল, একটি ছোট জ্যাকেটের টুকরো, কিছু গুড় এবং পোঙ্গালি বায়নামের সঙ্গে তাম্বুলমে রাখতে হবে। বাড়ির মহিলারা পুজোর পরে এই কাজটি করলে ধন-সম্পদের বৃদ্ধি হয়। পুরোহিতরা বলেন, ধন ত্রয়োদশীর দিনে বিশেষ আচার-অনুষ্ঠান পালন করলে দেবী লক্ষ্মীর সম্পূর্ণ আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
Post navigation
Just another WordPress site