লাইফস্টাইল Diabetes Control Tips: আর চিন্তা নেই….! মিষ্টি খেলেও বাড়বে না ব্লাড সুগার, এভাবে খেলেই ডায়াবেটিস থাকবে কন্ট্রোলে! Gallery October 31, 2024 Bangla Digital Desk যদিও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য স্বাস্থ্যকর মিষ্টি বিকল্প রয়েছে, অতিরিক্ত কিছু খাওয়া ক্ষতিকারক হতে পারে। তবে আপনি যদি সঠিক মিষ্টি বেছে নেন তবে আপনি ডায়াবেটিস থাকা সত্ত্বেও উত্সবটি পুরোপুরি উপভোগ করতে পারবেন। আজ এখানে আমরা এমন কিছু মিষ্টির কথা বলছি, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর। বাদাম-ফিগের বরফিবাদাম এবং ফিগের বরফি একটি পুষ্টি সমৃদ্ধ মিষ্টি, যার গ্লাইসেমিক সূচক কম। এতে রয়েছে প্রাকৃতিক মিষ্টি, যা রক্তে শর্করা বাড়ায় না। আপনি এটি বাড়িতেও প্রস্তুত করতে পারেন। নারকেলের লাড্ডুনারকেল থেকে তৈরি লাড্ডুও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিরাপদ। মিষ্টি করতে চিনির পরিবর্তে খেজুর ব্যবহার করতে পারেন। এর পাশাপাশি নারকেলে রয়েছে ফাইবার, যা রক্তে শর্করাকে স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। ডার্ক চকোলেটের মিষ্টিডার্ক চকোলেটে কম চিনি থাকে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এমন পরিস্থিতিতে আখরোট, কাজু এবং বাদাম মিশিয়ে এটিকে স্বাস্থ্যকর করে তুলতে পারেন। এর সেবন ডায়াবেটিসেও উপকারী। বাজরের হালুয়াজোয়ার এবং বাজরার হালওয়া একটি পুষ্টিকর মিষ্টি, যা চিনির পরিবর্তে গুড় বা খেজুর দিয়ে মিষ্টি করা যায়। এই শস্য ফাইবার এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি ভাল বিকল্প। এই হালুয়া বানানোর সময় ঘি এর পরিমাণ কম রাখুন। ফ্রুট চাটফল থেকে তৈরি চাট মিষ্টির একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প। এটি আপেল, কমলা এবং ডালিমের বীজের মতো মৌসুমি ফল দিয়ে তৈরি করা যেতে পারে। এটি প্রাকৃতিক মিষ্টি এবং ফাইবারের উৎস, যা রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। নয়াদিল্লির স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালের প্রিভেনটিভ হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর ডাঃ সোনিয়া রাওয়াত নিউজ 18 কে বলেছেন, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য দীপাবলিতে মিষ্টির পরিবর্তে শুকনো ফল এবং বাদাম খাওয়া একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প হতে পারে। বাদাম, আখরোট, কাজু এবং পেস্তার মতো ফলগুলিতে ভাল ফ্যাট এবং প্রোটিন থাকে। এগুলো শুধু শরীরে শক্তি জোগায় না, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। এসব থেকে মিষ্টি তৈরি করে অল্প পরিমাণে খেতে পারেন। সীমিত পরিমাণে খেজুর এবং ডুমুরের মতো শুকনো ফল খাওয়াও উপকারী, কারণ এতে ভালো পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি এবং ফাইবার থাকে। ডায়াবেটিস রোগীরা মিষ্টি হিসেবে ফল খেতে পারেন।’