আজকাল অল্প বয়সে অনেকেই ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগে ভোগেন। অনেক ক্ষেত্রেই ডায়াবেটিস শরীরে বাসা বাঁধে আমাদের অজান্তেই। পর্যাপ্ত সচেতনতার অভাব ডায়াবেটিস ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়ার অন্যতম কারণ।

Diabetes Diet Time: সুগারের রোগীদের দিনে ‘কতবার’ খাওয়া উচিত…? ‘এতবার’ নিয়মে খেলেই মুঠোয় থাকবে ব্লাড সুগার থেকে ওয়েট! জানুন বিশেষজ্ঞের মত

ডায়াবেটিস একটি খাদ্য এবং জীবনধারা সম্পর্কিত রোগ। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে থাকে। সঠিক জীবনধারা ও নিয়মেই নিয়ন্ত্রিত হয় এই রোগ। এই জন্য একটি বিষয় জানা খুব জরুরি। জানুন, ডায়াবেটিস রোগীর দিনে কতবার খাওয়া উচিত?
ডায়াবেটিস একটি খাদ্য এবং জীবনধারা সম্পর্কিত রোগ। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে থাকে। সঠিক জীবনধারা ও নিয়মেই নিয়ন্ত্রিত হয় এই রোগ। এই জন্য একটি বিষয় জানা খুব জরুরি। জানুন, ডায়াবেটিস রোগীর দিনে কতবার খাওয়া উচিত?
একজন ব্যক্তির জন্য সারা দিন উদ্যমী এবং সুস্থ বোধ করা গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে নয়তো রাখতে হবে ভারসাম্য।
একজন ব্যক্তির জন্য সারা দিন উদ্যমী এবং সুস্থ বোধ করা গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে নয়তো রাখতে হবে ভারসাম্য।
ডায়াবেটিস এড়াতে প্রতিটি মানুষের উচিত জীবনযাত্রা এবং খাদ্যাভ্যাসের বিশেষ যত্ন নেওয়া। কারও ডায়াবেটিস থাকলে তাঁর রক্তে সুগারের মাত্রা স্থিতিশীল থাকে না। সেক্ষেত্রে খাওয়া-দাওয়ার কিছু নিয়ম বদলেই কিন্তু হতে পারে দুর্দান্ত ফল।
ডায়াবেটিস এড়াতে প্রতিটি মানুষের উচিত জীবনযাত্রা এবং খাদ্যাভ্যাসের বিশেষ যত্ন নেওয়া। কারও ডায়াবেটিস থাকলে তাঁর রক্তে সুগারের মাত্রা স্থিতিশীল থাকে না। সেক্ষেত্রে খাওয়া-দাওয়ার কিছু নিয়ম বদলেই কিন্তু হতে পারে দুর্দান্ত ফল।
নিউজ 18-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বেঙ্গালুরুর চিকিৎসক ডাঃ প্রিয়াঙ্কা রোহাতগি একজন ডায়াবেটিস রোগীর জন্য আদর্শ ও স্বাস্থ্যকর জীবনধারা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
নিউজ 18-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বেঙ্গালুরুর চিকিৎসক ডাঃ প্রিয়াঙ্কা রোহাতগি একজন ডায়াবেটিস রোগীর জন্য আদর্শ ও স্বাস্থ্যকর জীবনধারা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
ডায়েট এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে প্রি-ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করুন:ডাঃ প্রিয়াঙ্কা রোহাতগি বলেন, ডায়াবেটিস রোগীদের প্রথমে কার্বোহাইড্রেট খাওয়া বন্ধ করতে হবে এবং খাদ্য তালিকায় প্রোটিনের ব্যবহার বাড়াতে হবে। তবে, যদি ব্যক্তি প্রি-ডায়াবেটিক হন এবং যদি চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে জীবনধারা অনুসরণ করেন প্রি-ডায়াবেটিক অবস্থা ভবিষ্যতে ডায়াবেটিস হিসাবে আবির্ভূত হবে না।
ডায়েট এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে প্রি-ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করুন:
ডাঃ প্রিয়াঙ্কা রোহাতগি বলেন, ডায়াবেটিস রোগীদের প্রথমে কার্বোহাইড্রেট খাওয়া বন্ধ করতে হবে এবং খাদ্য তালিকায় প্রোটিনের ব্যবহার বাড়াতে হবে। তবে, যদি ব্যক্তি প্রি-ডায়াবেটিক হন এবং যদি চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে জীবনধারা অনুসরণ করেন প্রি-ডায়াবেটিক অবস্থা ভবিষ্যতে ডায়াবেটিস হিসাবে আবির্ভূত হবে না।
চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ব্যায়াম এবং একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাস এক্ষেত্রে অনুসরণ করা উচিত বলেই মনে করেন ডাঃ প্রিয়াঙ্কা। তিনি বলেন, "ডায়াবেটিস রোগীদের গোটা শস্য খাওয়া উচিত, কারণ এতে বেশি ফাইবার থাকে এবং তা রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। কিন্তু যখন আমরা সুজি, ময়দা এবং চিনির মতো পরিশোধিত খাবার গ্রহণ করি, তখন তা দ্রুত শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, যার ফলে ডায়াবেটিস হয়।"
চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ব্যায়াম এবং একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাস এক্ষেত্রে অনুসরণ করা উচিত বলেই মনে করেন ডাঃ প্রিয়াঙ্কা। তিনি বলেন, “ডায়াবেটিস রোগীদের গোটা শস্য খাওয়া উচিত, কারণ এতে বেশি ফাইবার থাকে এবং তা রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। কিন্তু যখন আমরা সুজি, ময়দা এবং চিনির মতো পরিশোধিত খাবার গ্রহণ করি, তখন তা দ্রুত শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, যার ফলে ডায়াবেটিস হয়।”
এমতাবস্থায় খাদ্যাভ্যাস নিয়ে একেবারেই অযত্ন হওয়া উচিত নয়। একটা কথা মনে রাখতে হবে রক্তে সুগার লেভেলে ভারসাম্য না থাকলে হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই ধরনের সমস্যা এড়াতে, খাদ্যাভ্যাসে বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত।
এমতাবস্থায় খাদ্যাভ্যাস নিয়ে একেবারেই অযত্ন হওয়া উচিত নয়। একটা কথা মনে রাখতে হবে রক্তে সুগার লেভেলে ভারসাম্য না থাকলে হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই ধরনের সমস্যা এড়াতে, খাদ্যাভ্যাসে বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত।
ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্যতালিকায় স্বাস্থ্যকর জিনিস অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। যাতে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে না যায়। যাঁরা রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতে ইনসুলিন বা ওষুধ ব্যবহার করেন তাঁদের খাদ্যের বিষয়ে আরও সতর্ক হতে হবে।
ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্যতালিকায় স্বাস্থ্যকর জিনিস অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। যাতে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে না যায়। যাঁরা রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতে ইনসুলিন বা ওষুধ ব্যবহার করেন তাঁদের খাদ্যের বিষয়ে আরও সতর্ক হতে হবে।
ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতিদিন একই খাবার খাওয়া উচিত। সুস্থ থাকা জরুরি। প্রচুর শাকসবজি, ফলমূল এবং কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার খেতে হবে। এ ছাড়া ডায়াবেটিস রোগীদের ডিম, মাছ ও মাংস খাওয়া উচিত সঠিক পরিমানে।
ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতিদিন একই খাবার খাওয়া উচিত। সুস্থ থাকা জরুরি। প্রচুর শাকসবজি, ফলমূল এবং কম চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবার খেতে হবে। এ ছাড়া ডায়াবেটিস রোগীদের ডিম, মাছ ও মাংস খাওয়া উচিত সঠিক পরিমানে।
ডায়াবেটিস রোগীদের খাবার থেকে প্রসেসড ফুড, জাঙ্ক ফুড, অতিরিক্ত লবণ বাদ দিতে হবে। ডায়াবেটিস রোগীদের মিষ্টি জিনিস, ক্যান্ডি, জেলি, কুকিজ এবং সোডা জল বা সফ্ট ড্রিঙ্কস পান করা এড়িয়ে চলতে হবে।
ডায়াবেটিস রোগীদের খাবার থেকে প্রসেসড ফুড, জাঙ্ক ফুড, অতিরিক্ত লবণ বাদ দিতে হবে। ডায়াবেটিস রোগীদের মিষ্টি জিনিস, ক্যান্ডি, জেলি, কুকিজ এবং সোডা জল বা সফ্ট ড্রিঙ্কস পান করা এড়িয়ে চলতে হবে।
আপনি যদি নন-ভেজ খান তাহলে মাছ ও ডিম খান... তবে রেড মিট খাওয়া এড়িয়ে চলুন। কারণ এতে প্রচুর চর্বি থাকে। ফ্রোজেন ফল খাওয়া এড়িয়ে চলুন এবং আপনার খাদ্যতালিকায় বেশি করে ফল ও সবজি খান।
আপনি যদি নন-ভেজ খান তাহলে মাছ ও ডিম খান… তবে রেড মিট খাওয়া এড়িয়ে চলুন। কারণ এতে প্রচুর চর্বি থাকে। ফ্রোজেন ফল খাওয়া এড়িয়ে চলুন এবং আপনার খাদ্যতালিকায় বেশি করে ফল ও সবজি খান।
সাধারণভাবে, সুগারের রোগীদের দিনে তিন বার ছোট স্ন্যাক্স জাতীয় খাবার এবং তিনটি বড় মিল খাওয়া উচিত। এই ভাবে খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখলে ডায়াবেটিসে তা জরুরি ক্যালোরির চাহিদা মেটাতে সাহায্য করতে পারে।
সাধারণভাবে, সুগারের রোগীদের দিনে তিন বার ছোট স্ন্যাক্স জাতীয় খাবার এবং তিনটি বড় মিল খাওয়া উচিত। এই ভাবে খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখলে ডায়াবেটিসে তা জরুরি ক্যালোরির চাহিদা মেটাতে সাহায্য করতে পারে।
টাইপ 2 ডায়াবেটিসে আক্রান্ত অনেকের ওজন বেশি থাকে। লক্ষ্য রাখতে হবে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার দিকে। পাশাপাশি বেশি বেশি শারীরিক কার্যকলাপ (এক সপ্তাহে নিদেনপক্ষে ১৫০ মিনিট) করাও জরুরি। যাতে দ্রুত স্থূলতা কমিয়ে একটি স্বাস্থ্যকর ওজনে পৌঁছাতে সক্ষম হওয়া যায়।
টাইপ 2 ডায়াবেটিসে আক্রান্ত অনেকের ওজন বেশি থাকে। লক্ষ্য রাখতে হবে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার দিকে। পাশাপাশি বেশি বেশি শারীরিক কার্যকলাপ (এক সপ্তাহে নিদেনপক্ষে ১৫০ মিনিট) করাও জরুরি। যাতে দ্রুত স্থূলতা কমিয়ে একটি স্বাস্থ্যকর ওজনে পৌঁছাতে সক্ষম হওয়া যায়।
অস্বীকৃতি: আমাদের এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্য প্রদানের জন্য। সামাজিক মাধ্যম ও নানা ওয়েবসাইটের পাওয়া তথ্য থেকে এই জ্ঞান নেওয়া হয়েছে। তবে এই সংক্রান্ত আরও তথ্যের জন্য এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের বা আপনার ব্যক্তিগত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
অস্বীকৃতি: আমাদের এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্য প্রদানের জন্য। সামাজিক মাধ্যম ও নানা ওয়েবসাইটের পাওয়া তথ্য থেকে এই জ্ঞান নেওয়া হয়েছে। তবে এই সংক্রান্ত আরও তথ্যের জন্য এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের বা আপনার ব্যক্তিগত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।