আজ ফের ধর্নায় বসতে চলেছেন রায়াত-সায়ন্তিকারা

শপথ জটিলতা কি আজ মিটবে? আজ ফের ধর্নায় বসতে চলেছেন রায়াত-সায়ন্তিকারা

আবীর ঘোষাল, কলকাতা: শপথ জটিলতা কি আজ মিটবে? প্রশ্ন এখন সেটাই ৷ অন্যদিকে রাজ্যপাল আজ, সোমবার বিকেল তিনটের মধ্যে শপথ গ্রহণ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না জানালে, ‘আনটোল্ড স্টোরি’ প্রকাশ করা হবে বলে আগেই জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ ৷ ফলে নজিরবিহীন ঘটনা কার্যত ঘটতে চলেছে এই শপথ জটিলতা ঘিরে ৷ দুই নব নির্বাচিত বিধায়কের শপথ ঘিরে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত তীব্র হচ্ছে।

রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ইচ্ছাকৃত ভাবে শপথগ্রহণ ফেলে রাখছেন বলে অভিযোগ শাসক দলের। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তাই বিধানসভার সিঁড়িতে ধর্নায় বসেছেন উপবির্বাচনে জয়ী তৃণমূলের দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রায়াত হোসেন সরকার। কিন্তু রাজ্যপালের অপেক্ষায় সায়ন্তিকা এবং রায়াত যখন বিধানসভার সিঁড়িতে বসে, সেই সময় রাজ্যপাল রওনা দিয়েছিলেন দিল্লির উদ্দেশে। এরপর রাষ্ট্রপতি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, আইন মন্ত্রী, অর্থ মন্ত্রী, উপরাষ্ট্রপতি সকলের সাথে দেখা করেছেন তিনি।গত ৪ জুন বরাহনগর এবং ভগবানগোলা উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়, যাতে সায়ন্তিকা এবং রেয়াত জয়ী হন। কিন্তু তার পর একমাস কাটতে চললেও, এখনও বিধায়ক হিসেবে শপথ নিতে পারেননি সায়ন্তিকা এবং রায়াত। সেই নিয়ে বিস্তর চিঠি চালাচালিও হয়েছে।

আরও পড়ুন– উত্তরবঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টি ! দক্ষিণে সোম-মঙ্গল কিছুটা কমবে বৃষ্টির পরিমাণ

রাজ্যপাল সায়ন্তিকা এবং রেয়াতকে রাজভবনে এসে শপথ নিতে বলেছেন। কিন্তু বিধায়কদের বিধানসভাতেই শপথ নেওয়া দস্তুর যেখানে, কেন তাঁরা রাজভবনে শপথ নেবেন, প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল সরকার। রাজ্যপাল চাইলে বিধানসভায় এসে সায়ন্তিকা এবং রায়াতকে শপথবাক্য পাঠ করাতে পারেন বলেও জানানো হয়। সায়ন্তিকা এবং রেয়াত জানিয়েছেন, একমাস হতে চলল, এখনও শপথ নিতে পারেননি তাঁরা। মানুষকে যে কথা দিয়েছিলেন, তা রাখতে পারছেন না, কাজ করতে পারছেন না। তাই রাজ্যপাল যেন তাঁদের উপর দয়া করেন, আর্জি জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন- অনলাইনে ডিরেক্ট ট্যাক্স কালেকশন শুরু বন্ধন ব্যাঙ্কের, জেনে নিন বিশদে

শপথের ক্ষেত্রে রাজ্যপালের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তিনি  শপথ বাক্য না পড়ালে, তাঁর মনোনীত কোনও ব্যক্তি পড়াতে পারেন। এই ধরনের ক্ষেত্রে বিধানসভার অধ্যক্ষের হাতেই তিনি দায়িত্ব তুলে দেন। এর দরুণ ২০২১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজভবনেই শপথবাক্য পাঠ করিয়েছিলেন তদানীন্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ধূপগুড়ির বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়ের শপথ নিয়েও বিস্তর টানাপোড়েন চলে। তিনিও শেষ পর্যন্ত রাজভবনেই শপথ নিয়েছিলেন। যদিও রাজ্যের দাবি, বিধানসভা সাংবিধানিক রীতি মেনেই চলছে।