পাঁচমিশালি, লাইফস্টাইল Diabetes: ডায়াবেটিস রোগীদের কোন ‘ফল’ খাওয়া উচিত নয় বলুন তো…? চমকে দেবে উত্তর, গ্যারান্টি! Gallery July 28, 2024 Bangla Digital Desk দেশ বিদেশের নানা নতুন নতুন তথ্য ও পরিসংখ্যান যেমন সাধারণ জ্ঞানের চমক, তেমনই আবার অবাক করে চেনা দৈনন্দিন নানা বিষয়ের নতুন নতুন জ্ঞানও বলে দেয় জেনারেল নলেজ। আমাদের চিরাচরিত ধারণাকে অনেক সময় পাল্টে দেয় এই জিকের জ্ঞান। আসলে এই সাধারণ জ্ঞান হল তথ্যরাশির সেই ভাণ্ডার যা প্রতি মুহূর্তে আমাদের নতুন কিছু শিখতে সাহায্য করে। তাই নানা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ফল ভাল করতে পড়ুয়ার যেমন জিকের চর্চা থাকা জরুরি, ঠিক তেমনই সাধারণ জ্ঞানের সম্যক পাঠ ছাড়া দৈনন্দিন জীবন ও যাপনও ততটা সহজ হয় না। জীবনকে সুস্থ ও স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে পরিচালনা করতেও প্রতি পদে পদে প্রয়োজন নানা বিষয়ে অজানা তথ্য সম্পর্কে, প্রচলিত ধ্যান ধারণা সম্পর্কে নতুন করে চর্চা। একদিকে যেমন জীবন ক্রমশ দ্রুতগামী হয়ে উঠছে। তেমনই বর্তমান যুগে নানা ধরণের জীবনশৈলিমুলক রোগ ঘিরে ধরছে প্রায় প্রতিটি মানুষকে। আর এই রোগের তালিকায় প্রায় সবার উপরে রয়েছে ডায়াবেটিস। ডায়াবেটিস রোগ আজ ভারতের প্রায় ঘরে ঘরে। চিকিৎসকদের বক্তব্য এই ধরণের রোগ অনেক ক্ষেত্রেই নিয়ন্ত্রিত হয় সঠিক জীবনচর্যা ও খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে। কিন্তু এক্ষেত্রে উপযুক্ত সচেতনতার অভাব ক্রমশ বাড়িয়ে দিচ্ছে এই রোগের উপদ্রব। রোগ ব্যাধি থেকে শরীরের মুক্তির জন্য যেমন চাই চিকিৎসাজনিত জ্ঞান তেমনই কিন্তু পথ্যের দিকের নজর রাখা জরুরি। আজ এই প্রতিবেদনে তেমন কিছু দৈনন্দিন জীবনের জ্ঞান শেয়ার করা হল যা প্রায় অনেকেরই অজানা। আজ এই প্রতিবেদনে জেনে নেওয়া যাক ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়েটে কি আদৌ ফল রাখা উচিত? আবার রাখলেই বা ঠিক কোন কোন ফল খাওয়া ভাল ও কোন ফল খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। আগে জেনে নেওয়া যাক কোন ফল ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী। বিশেষজ্ঞের মতে, জাম ডায়াবেটিস রোগীদের পক্ষে খুবই ভাল। এতে বিভিন্ন ধরনের উপকার পেয়ে থাকেন ডায়াবেটিস রোগীরা। এর হাইপোগ্লাইসেমিক প্রভাব রক্তের শর্করা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দেয়। এমনকি জামের বীজও ডায়াবেটিস রোগীদের পক্ষে খুবই ভাল। এছাড়াও ডায়াবেটিস রোগীরা খেতে পারেন পেয়ারা। এর থেকে যে ফাইবার আসে, তা পেটকে অনেকক্ষণ ভর্তি রাখে। এতে থাকে ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ। এই ফলের গ্লুকোজ ইনডেক্স কম হয় বলে এটি খুবই উপকারি। কমলালেবুও কিন্তু ডায়াবেটিসের রোগীদের পক্ষে খুবই ভাল। এই ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই ভাল করে। এছাড়াও ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য কামরাঙ্গা খুবই ভাল। কামরাঙ্গার চাট বানিয়ে কাসুন্দি দিয়ে খেলে তার স্বাদ যেমন ভাল লাগে, তেমনই তা শরীরের পক্ষে উপকারি। এছাড়াও কিউইর মতো একদম মিষ্টি একটি ফলও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকার। এই ফলে রয়েছে বহু ধরনের গুণ। এতে ভিটামিন সি ছাড়াও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি, অ্যান্টি অক্সিডেন্টের মতো উপাদান থাকে। যা ডায়াবেটিসের রোগীদের পক্ষ খুবই ভাল। আবার আপেল ডায়াবেটিসের রোগীদের পক্ষে খুবই কার্যকরী ভূমিকা নেয়। এমন ফল পুষ্টির চাহিদা যেমন মেটায় তেমনই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ডায়াবেটিস রোগীদের কোন ফল খাওয়া উচিত নয়?এ তো গেল কোন কোন ফল ডায়াবেটিস রোগী হলেও খেতে পারেন। কিন্তু জানেন কি কোন ফল ব্লাড সুগারের রোগীদের খেতে নেই? এক্ষেত্রে গবেষণার উত্তর কিন্তু চমকে দেবে! মেডিকেল নিউজ টুডে (medicalnewstoday.com) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে,আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশনের সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে, যে কোনও ফলই ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য ভাল, যতক্ষণ না সেই ব্যক্তির সেই ফলের থেকে কোনও ধরনের অ্যালার্জি নেই। বরং বলা হচ্ছে ডায়াবেটিস রোগীদের সর্বদা সুষম খাদ্যে ফল অন্তর্ভুক্ত করা উচিত এবং একজন ব্যক্তির কোন ফল খাওয়া উচিত তার উপর এক্ষেত্রে বাস্তবিক কোনও বিধিনিষেধ নেই। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডায়াবেটিস অ্যান্ড ডাইজেস্টিভ অ্যান্ড কিডনি ডিজিজেস সুপারিশ করে যে ডায়াবেটিস রোগীদের সুষম খাদ্যে ফল অন্তর্ভুক্ত করা তাঁদের জন্য ভাল। যদিও বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ পরামর্শ দেন, ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে সবেদা, আঙুর, আম, লিচু একেবারেই মঙ্গলদায়ক নয়। এই ফল খেলেও তা কম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এমনকি কলাও না খাওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। প্রখ্যাত পুষ্টিবিদ ও ব্যক্তিগত প্রশিক্ষক আলিসা প্যালাডিনো, এমএস, আরডিএন সর্বভারতীয় এই সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে আরও স্পষ্ট করেছেন, “আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন (ADA) নিশ্চিত করে যে পরিমিত পরিমাণে শুকনো ফল খাওয়াও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি ভাল বিকল্প হতে পারে।” শর্তত্যাগ: শুধুমাত্র আপনাদের সচেতনতার উদ্দেশ্যেই এই প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে। আমরা এই লেখায় সাধারণ জ্ঞান ও দৈনন্দিন জীবনের কিছু সাধারণ তথ্য শেয়ার করেছি মাত্র। আপনি যদি কোথাও আপনার স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞানের যোগ সম্পর্কিত কিছু পড়েন তবে তা গ্রহণ করার আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন।