কীর্ণাহার: দিদিকে বলো’তে ফোন করে কীর্ণাহার থানার ওসির নামে তোলাবাজির অভিযোগ। তড়িঘড়ি বোলপুরের এসডিপিও নেতৃত্বে শুরু হল তদন্ত৷ বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করায় রবীন্দ্রনাথ ঘোষ নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা চান ওসি। টাকা দিতে না পারায় ২৪ ঘণ্টা তাঁকে লকাপে আটকে রাখা হয়৷ এমনই অভিযোগ ‘দিদিকে বলো’ ট্রোল ফ্রি নম্বরে করেন ওই ব্যক্তির স্ত্রী সুমিত্রা ঘোষ৷
যদিও, কীর্ণাহার থানার ওসি শেখ আসরাফুলকে ফোন করা হলে তিনি কোনও ফোন ধরেননি বা তিনি কোনও বক্তব্য দিতে চাইছেন না এই বিষয়ে। ইতিমধ্যেই পুলিশ অভিযোগের সত্যাসত্য নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বোলপুরের এসডিপিওর নেতৃত্বে।
বীরভূমের কীর্ণাহার থানার মিরাটী গ্রামের ব্রাহ্মণ পাড়ার বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। প্রতিবেশির সঙ্গে বাড়ি তৈরির জন্য বিবাদ হয় তাঁর৷ বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়৷ বোলপুর মহকুমা আদালত মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নির্মাণে স্থগিতাদেশ দেয়৷ পরবর্তীতে প্রতিবেশীর সঙ্গে মিমাংসা করে বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেন রবীন্দ্রনাথ বাবু।
অভিযোগ, এরপরেই কীর্ণাহার থানার ওসি তাঁকে ডেকে পাঠান। ১ লক্ষ টাকা তোলা চাওয়া হয়। এমনকি তাঁকে মারধর করা হয়৷ স্বামীকে পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়ে লকআপে আটকে রাখায় ‘দিদিকে বলো’ ট্রোল ফ্রি নম্বরে অভিযোগ করেন তাঁর স্ত্রী সুমিত্রা ঘোষ৷ জানা গিয়েছে, নবান্ন থেকে বিষয়টি দেখার জন্য বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়কে নির্দেশ দেওয়া হয়৷ সেই মতো বোলপুরের এসডিপিও রিকি আগরওয়ালের নেতৃত্বে কীর্নাহার থানার ওসি শেখ আসরাফুলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়৷