দিঘায় এবার কড়া পদক্ষেপ!

Digha: দিঘায় এবার কড়া পদক্ষেপ! দুর্ঘটনা রুখতে আটটি স্পিডবোটে চলবে নজরদারি

দিঘাঃ দীর্ঘদিন ধরেই দিঘা থেকে তাজপুর অবধি এই অংশে অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস যথাযথ ভাবে কাজ করছে। বহু পর্যটক যারা এই সব স্থানে যাতায়াত করেন তারা অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস ভালবাসেন৷ তবে তাতে কড়া নজরদারি আছে৷ আবার অন্যদিকে কিছু পর্যটক আছেন, যাদের বারণ করা সত্ত্বেও জলে নামায় নিষেধ থাকলেও তারা জলে নেমে পড়েন। নানা সময় বিপদ ঘটে যায়। এবার এই সব ক্ষেত্রে নজরদারিতে সুবিধা হবে বলে মনে করছে প্রশাসন।

আরও পড়ুনঃ দেশজুড়ে কর্মবিরতির ডাক ডাক্তারদের! ১৪ অগাস্টে কলকাতার রাজপথে প্রতিবাদে মেয়েরা

পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুরের মতো সমুদ্র সৈকতে দুর্ঘটনা ও পর্যটকদের মৃত্যু ঠেকাতে এবার স্পিডবোটে নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন। এর জন্য প্রাথমিকভাবে আটটি স্পিডবোট কেনা হচ্ছে। স্পিডবোটে থাকবে নুলিয়ারা। প্রতিটি বিচে চলবে নজরদারি। প্রশাসন বারবার সতর্ক করলেও সাম্প্রতিককালে সমুদ্রে ডুবে পর্যটক মৃত্যুর একাধিক ঘটনা ঘটেছে। এতে উদ্বিগ্ন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। তাই সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি জলপথেও নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এর ফলে দুর্ঘটনায় অনেকটাই রাশ টানা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি দুর্ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকাজও শুরু করা যাবে।

জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা আধিকারিক মৃত্যুঞ্জয় হালদার বলেন, আটটি স্পিডবোট কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মে-জুলাই মাস পর্যন্ত দিঘা ও মন্দারমনিতে স্নান করতে নেমে ১০ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। পরপর এতগুলি মৃত্যুর ঘটনায় সমুদ্র সৈকতের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ ও সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়ারদের দাবি, অনেক পর্যটক নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে উত্তাল সমুদ্রে নেমে পড়েন। অ্যাডভেঞ্চার আর সেলফির নেশায় জীবনের ঝুঁকি নেন। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় সমুদ্রে নামার জেরেও দুর্ঘটনা ঘটছে। এসব কারণেই নুলিয়ারা স্পিডবোটে প্রতিটি বিচে নজর রাখবেন। নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন কেউ জলে নামলে তাঁদের তুলে দেওয়া হবে। সাধারণত জুন থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকে। নিম্নচাপ ও কোটালের জেরে সমুদ্র ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। তাই এসময়ে দুর্ঘটনাও বেশি ঘটে। এবার জলপথে নজরদারি শুরু হওয়ার ফলে দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর সংখ্যা কমবে, আশা জেলা প্রশাসনের।