Mohun Bagan: মোহনবাগান চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এটাই আসল, গোল্ডেন বুট হারানোর দুঃখ নেই দিমিত্রির

গোয়া: ভারতীয় ফুটবলের প্রথমবার খেলতে এসেই চ্যাম্পিয়ন। সব বিদেশি ফুটবলারদের ভাগ্যে এমনটা হয় না। সে দিক থেকে দেখতে গেলে দিমিত্রি পেত্রাতস অত্যন্ত ভাগ্যবান। এলেন, দেখলেন এবং জয় করলেন। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার দলে থাকা ফুটবলারটি জানতেন তাকে অনেক আশা করে নিয়ে আসা হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সমর্থকদের ভালোবাসার অত্যাচারে একটুও বিরক্ত নন দিমিত্রি।

বলে দিলেন, এই দিনটার স্বপ্ন নিয়েই ভারতে এসেছিলাম। সবাইকে ধন্যবাদ আমরা একটা দল হিসেবে পারফরম্যান্স করতে পেরেছি। মোহনবাগান ভারতের অন্যতম সেরা ক্লাব সেটা কলকাতায় পা দেওয়ার পর থেকেই অনুভব করেছিলাম। সমর্থকরা সব সময় উৎসাহ দিতেন, মাঠে আসতেন, জড়িয়ে ধরতেন। একজন ফুটবলারের কাছে এটা বিরাট ব্যাপার।

আরও পড়ুন – মোহনবাগান ক্যান্টিনে হবে স্পেশাল মেনু, ডিমের ডেভিল থেকে চিংড়ির মালাইকারি! যাবেন নাকি?

প্রথমদিকে একটু মানিয়ে নিতে সমস্যা হয়েছিল। আমি নম্বর নাইন হিসেবে খেলিনি এর আগে। তবে এখানে সবার সাহায্যে নিজের ভূমিকা পালন করতে পেরেছি। কোচ হুয়ান প্রচুর সময় দিয়েছেন আমার উন্নতির পেছনে। এই জয় সমর্থকদের জয়। ওরাই আমার অক্সিজেন। ১২ গোল করে ইস্টবেঙ্গলের সিলভার এবং ওড়িশার মোরিসিওর সমান হলেও গোল্ডেন বুট পাননি দিমিত্রি।

নিয়ে গিয়েছেন মোরিসিও। তাতে অবশ্য বিন্দুমাত্র দুঃখ নেই অস্ট্রেলিয়ান তারকার। পরিষ্কার বলে দিচ্ছেন গোল্ডেন বুট পেলে ভাল হত। কিন্তু মোহনবাগান চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এটাই আসল। আমরা ভারতের সেরা দল। গোল্ডেন বুট হারানোর দুঃখ নেই। চ্যাম্পিয়ন হয়ে কলকাতায় ফিরব এটাই আনন্দের।

তবে এই সাফল্যে থেমে থাকতে চান না দিমিত্রি। সামনে সুপার কাপ। কয়েকদিন বিশ্রাম নিয়ে তারপর সেটার জন্য প্রস্তুতি শুরু করতে চান বাগানের অস্ট্রেলিয়ান তারকা। আইএসএল ফাইনালে অবশ্য ম্যাচের সেরা হয়েছেন দিমিত্রি। সেটা নিয়েও বাড়তি উচ্ছ্বাস নেই তার।