বিতর্কে শক্তিগড়ের ল্যাংচা৷

Shaktigarh Langcha: মাটিতে পোঁতা হয়েছিল হাজার হাজার ল্যাংচা! শক্তিগড়ের হাল কি বদলাল?

শক্তিগড়: তার দুর্নাম কি ঘোচাতে পারল শক্তিগড়ের ল্যাংচা? উন্নত হল তার রান্নাঘরের পরিকাঠামো? পুজোর আগেই তা খতিয়ে দেখবে প্রশাসন। খাদ্য সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য দফতর একযোগে ফের অভিযানে যাবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

দেড় মাস আগে শক্তিগড়ে জেলা প্রশাসনের অভিযান আলোড়ন ফেলেছিল রাজ্য জুড়ে। অস্বাস্থ্যকর জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছিল বস্তা বস্তা শুকনো ল্যাংচা। বহু আগে থেকে ভেজে তা বস্তায় ভরে রাখা হয়েছিল। অনেক ল্যাংচার গায়ে, ভিতরে ছত্রাক মিলেছিল সে অভিযানে। সেই সমস্ত ল্যাংচা মাটি খুঁড়ে পুঁতে দেয় প্রশাসন। সেই অভিযান দেখে চোখ কপালে উঠেছিল মিষ্টি প্রিয় বাঙালির। তার প্রভাব পড়েছিল কেনাকাটায়। অনেকেই শক্তিগড়ের উপর দিয়ে গেলেও ল্যাংচা কিনেছিলেন না। এখনও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘নমস্কার কুণালদা’, তৃণমূল নেতাকে জবাব দিলেন দেব! কথার লড়াইয়ে অস্বস্তিতে শাসক দল

সামনেই পুজোর মরশুম। পুজো মানেই বাঙালি বাড়িতে নানা মিষ্টির সম্ভার। তাই তাঁদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই পুজোর আগে ফের শক্তিগড়ের ল্যাংচার মান পরখ করবে প্রশাসন। ২০ জুলাই শক্তিগড়ে ১৯ নং জাতীয় সড়কের ধারে থাকা বেশ কয়েকটি ল্যাংচার দোকানে অভিযান চালায় স্বাস্থ্য দফতর। আগের অভিযানে ব্যবসায়ীদের সচেতনও করা হয়েছিল। এরপর মাঝে ছয় সপ্তাহ পার হয়েছে। প্রশাসনের পরামর্শ মেনে ল্যাংচা বিক্রেতারা স্বাস্থ্যসম্মত উপায় মানছেন কি না, তা ফের খতিয়ে দেখা হবে৷

জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানান, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ল্যাংচা তৈরি হচ্ছিল অধিকাংশ দোকানে। সেই সময়ই দোকানগুলিকে চরম বার্তা দেওয়া হয় স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে। সমস্ত দোকানগুলিকে অবিলম্বে পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।  দোকানগুলিকে দেওয়া সময়ের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে।  তাই যেকোনও দিন ফের অভিযানে যেতে পারেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘কিছু অসাধু বিক্রেতার জন্য আজ শক্তিগড়ের ল্যাংচা শিল্প খুবই সংকটে পড়েছে। ক্রেতারা এখনও ভরসা করতে পারছেন না। আমাদের এখন একমাত্র লক্ষ্য ক্রেতাদের আস্থা ফেরানো।’