আতশবাজির এক ফুলকি থেকে দাউদাউ আগুন...! বিস্ফোরণ! দীপাবলির আমেজে মন্দিরে আতঙ্ক, জখম ১৫০

Diwali 2024 Kerala Fireworks Accident: আতশবাজি থেকে আগুন! কেরলের মন্দিরে জখম ১৫০, ৮ জনের অবস্থা গুরুতর

কাসারগোড: কালিয়াট্টম উৎসব উপলক্ষ্যে নীলেশ্বরমের কাছে অনজুট্টাম্বলম বীরাকাভু মন্দিরে জড়ো হয়েছিলেন অসংখ্য ভক্ত। রাত তখন সাড়া বারোটা। আতশবাজি ফাটছে। আলোর রোশনাইয়ে ভরে যাচ্ছে মন্দির চত্বর। অনেকেই মোবাইলে সেই ছবিও তুলে রাখছিলেন। চারদিকে উৎসবের আমেজ। (fireworks)

আরও পড়ুন- নতুন ইউটিউব চ্যানেল? কত সাবস্ক্রাইবার হলে আসবে টাকা? ৯৯ শতাংশই না জেনে ভুল করছেন

এমন সময় হঠাৎই বাজির ফুলকি থেকে মন্দির সংলগ্ন একটা ঘরে আগুন লেগে যায়। সেখান থেকে বিস্ফোরণ। দাউ দাউ করে আগুন ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। ব্যাপারটা কী হল, প্রথমে বুঝতে পারেননি অনেকেই। পরক্ষণেই হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। যে যে দিকে পারেন ছুটতে শুরু করেন।

কেরলের কাসারগোডের এই ঘটনায় ১৫০ জন জখম হয়েছেন। এর মধ্যে ৮ জনের অবস্থা গুরুতর। আহতদের কাসারগোড, কান্নুর এবং মঙ্গলুরুর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানেই তাঁদের চিকিৎসা চলছে। পুলিশ সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। ঘটনার পরই জেলা পুলিশ প্রধান সহ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। আতশবাজি থেকে কীভাবে আগুন লাগল, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন- ভয়ঙ্কর! ইঞ্জেকশন দিয়ে অজ্ঞান করে ধর্ষণ! হাসনাবাদে ডাক্তার দেখাতে এসে এ কী হাল তরুণীর!

পুলিশের অনুমান, মন্দিরের যে ঘরে আতশবাজি রাখা ছিল, সেখানে আগুন লেগে যাওয়ার কারণেই এমন বিস্ফোরণ ঘটে। চারপাশে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতেও এমনটাই দেখা যাচ্ছে।

ঘটনার পরই মন্দির কমিটির ৮ সদস্যের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ২৮৮, ১২৫(এ), ১২৫(বি), ৩(৫), ৩(৬) এবং ৬ ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এফআইআর অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় লাইসেন্স, অনুমতি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াই আতশবাজি ফাটাচ্ছিলেন অভিযুক্তরা।

সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, মন্দির কর্তৃপক্ষ উৎসবের জন্য জারি করা নির্দেশিকা মানেনি। তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিএনএন-নিউজ18-কে কাসারগোডের পুলিশ সুপার বলেন, মন্দির চত্বরে ঘেঁষাঘেঁষি করে দাঁড়িয়েছিলেন ভক্তরা। কাছেই একটা ঘরে আতশবাজি রাখা ছিল। সেখানেই পরে আগুন লেগে যায়।

জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, ১৮ জনকে মঙ্গলুরুর এম জে হাসপাতালে, ১৮ জনকে কান্নুড়ের এমআইএমএস হাসপাতালে, ১৭ জনকে কান্নাঙ্গাদের আইশাল হাসপাতালে, ১৬ জনকে কান্নাঙ্গাদ জেলা হাসপাতালে, ১০ জনকে কান্নাঙ্গাদের সঞ্জীবনী হাসপাতালে এবং ৫ জনকে কান্নুড়ের সরকারি মেডিকেল কলেকে ভর্তি করা হয়েছে।

এছাড়াও কান্নাঙ্গাদের মজুর হাসপাতালে ৫ জন, আরিমালা হাসপাতালে ৩ জন, এমআইএমএস হাসপাতাল, কোঝিকোডের কে এইচ হাসপাতাল, চেরুভাতুরে ২ জন করে ভর্তি রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কান্নাঙ্গাদের দীপা হাসপাতালেও একজনকে ভর্তি করা হয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপার ডি শিল্পা বলেন, “যেখানে আতশবাজি ফাটানো হয়, তাঁর অন্তত ১০০ মিটার দূরে স্টোররুম করাই নিয়ম। এখানে নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়েছে। যেখানে ভক্তরা দাঁড়িয়ে আতশবাজি ফাটানো দেখছিলেন, সেখানেই বাজি মজুত করা ছিল। এই কারণেই দূর্ঘটনা ঘটেছে।”