Diwali: দীপাবলিতে অনলাইনে কেনাকাটা করছেন? খুব সাবধান, পাতা বড় ফাঁদ! বাঁচার উপায় জানুন

সামনেই দীপাবলি। আর আলোর উৎসবে মেতে উঠবে গোটা দেশ। এই সময় পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে চলে উপহারের আদানপ্রদান। কিন্তু পছন্দের মানুষের জন্য উপহার কেনার সময় কিন্তু সাবধান! কারণ সেখানেও ফাঁদ পেতেছে প্রতারকরা। এদিকে এই সংক্রান্ত বিষয়ে সম্প্রতি গ্রাহকদের সতর্ক করে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ইন্ডিয়ান কম্পিউটার এমার্জেন্সি রেসপন্স টিম (CERT-In)। যেখানে অনলাইন শপিং স্ক্যামের বিষয়ে জানানো হয়েছে।

CERT-In জানিয়েছে যে, এই সময় প্রতারকরা ১টা কিংবা ২টো নয়, বরং ১৩টা কৌশল ব্যবহার করে মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলছে। তাই সকলেরই এটা নিয়ে সতর্ক থাকা উচিত। দীপাবলির সময় মানুষ প্রচুর কেনাকাটা করেন। আর আজকাল অনলাইন শপিংয়ের জনপ্রিয়তা রয়েছে তুঙ্গে। আর সেটাকে কাজে লাগিয়ে নানা ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করে দিচ্ছে প্রতারকরা।

আরও পড়ুন: খুদে খুদে আলোতেই এত! দীপাবলিতে বাড়ি সাজাবেন টুনি বাল্ব দিয়ে? জানেন এই আলো জ্বললে কত খরচ হয় বিদ‍্যুত্‍? অঙ্ক শুনলে মাথা ঘুরে যাবে

ফিশিং স্ক্যামের মাধ্যমে প্রতারকরা বিশ্বস্ত ব্র্যান্ডগুলির ই-মেল অথবা মেসেজ ব্যবহার করে নকল তৈরি করছে। আর তারা ব্যবহারকারীদের লগ-ইন ক্রেডেনশিয়াল অথবা ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে নিচ্ছে। এমনকী পুরস্কার অথবা লটারি জেতার মতো ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দিয়ে ব্যবহারকারীদের ভুল পথে চালিত করছে প্রতারকরা। এমনকী ভুয়ো অনলাইন ডেটিং প্রোফাইল তৈরি করেও প্রতারণার ফাঁদ পাতা হচ্ছে।

এখানেই শেষ নয়, টাকা হাতানোর জন্য প্রতারকরা ভুয়ো অনলাইন স্টোর চালাচ্ছে। যেখান থেকে গ্রাহকদের ভুয়ো জিনিসপত্র সরবরাহ করা হচ্ছে। আর তার বিনিময়ে তাঁদের থেকে নিয়ে নেওয়া হচ্ছে পুরো টাকাটাই। এহেন নানা কৌশলে রীতিমতো ফাঁদ পেতে গ্রাহকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করে দিচ্ছে প্রতারকরা।

প্রতারণার ফাঁদ থেকে বাঁচার উপায়:
কলার ভেরিফিকেশন:
কলার ঠিকঠাক কি না, তা যাচাই করতে হবে। ভিডিও কল অথবা মানি ট্রান্সফার এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ সরকারি এজেন্সি কিন্তু WhatsApp অথবা Skype ব্যবহার করে না।

আরও পড়ুন: খুব সাবধান! কোন দুধ খাচ্ছেন? শরীরের বারোটা বাজাচ্ছে এইসব দুধ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ…ডাকছে হাজার সমস‍্যা

আতঙ্ক নয়:
প্রতারকরা মানুষকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য চাপ দেয়। তাই আতঙ্কিত না হয়ে মাথা ঠান্ডা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

ব্যক্তিগত তথ্য:
অফিসিয়াল এজেন্সি কিন্তু ব্যাঙ্কিং তথ্য, ওটিপি চায় না। তাই ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করা চলবে না।

সফটওয়্যার ইনস্টল নয়:
দূর থেকে কাউকে নিজের ফোন অথবা পিসি নিয়ন্ত্রণ করার সুযোগ দেওয়া চলবে না। তাই কারও কথায় নিজের ফোনে কোনও অ্যাপ অথবা সফটওয়্যার ডাউনলোড করা উচিত নয়।

মানি ট্রান্সফার নয়:
কোনও অফারের প্রলোভনে পা দিয়ে কাউকে টাকা পাঠানো ঠিক নয়। কেউ ফোনে অথবা অনলাইনে টাকা চাইলে বুঝতে হবে যে, সে আদতে প্রতারক।

সন্দেহজনক কার্যকলাপ দেখলে অভিযোগ:
স্ক্যাম হচ্ছে বুঝতে পারলে ব্যাঙ্ক এবং সাইবার ক্রাইম বিভাগে অবিলম্বে অভিযোগ দায়ের করতে হবে।

লিঙ্ক অথবা অ্যাটাচমেন্টে ক্লিক নয়:
অপরিচিত উৎস থেকে আগত কোনও লিঙ্ক অথবা অ্যাটাচমেন্টে ক্লিক করা উচিত নয়।

অপরিচিত কারও শেয়ার করা অ্যাপ ইনস্টল করা ঠিক নয়:
অফিসিয়াল অ্যাপ স্টোর থেকেই শুধুমাত্র অ্যাপ ডাউনলোড করা উচিত। অপরিচিত কারও হাতে নিজের ডিভাইস দেওয়া উচিত নয়।