কৌশিকী অমাবস্যা একদিনের কত যাত্রী ট্রেনে চাপল কত আয় হল রেলের আয় কত জানুন

কৌশিকী অমাবস্যায় কত যাত্রী ট্রেনে তারাপীঠ গেলেন? রেলের বাম্পার আয়

হাওড়া: কৌশিকী অমাবস্যায় প্রথম দিনে কত যাত্রী ট্রেনে চাপল, একদিনে কত আয় এই রুটে, জানেন কি ? কৌশিকী অমাবস্যার মেলার জন্য রামপুরহাট স্টেশনে ভক্তদের ঢল নেমেছিল।

কৌশিকী অমাবস্যা মেলা চলাকালীন তারাপীঠে আসা ভক্তদের জন্য পূর্ব রেলের বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়। সারা বছরই তারাপীঠে হাজার হাজার ভক্ত সমাগম ঘটে। বিশেষ করে কৌশিকী অমাবস্যা মেলার সময় আরও কয়েকগুণ ভক্তের সংখ্যা বাড়ে।

আরও পড়ুন- কৌশিকী অমাবস্যার রাত, কত টাকার মদ বিক্রি হল? শুনলে হা হয়ে যাবেন

কৌশিকী অমাবস্যা উৎসব যা আধ্যাত্মিক শক্তি বা আশীর্বাদ লাভের মোক্ষম সময় বলে মনে করেন ভক্তরা।তাই এই সময় সর্বাধিক ভক্ত সমাগম ঘটে। তারাপীঠের নিকটতম স্টেশন রামপুরহাটে যাতায়াতকারী তীর্থযাত্রীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ বা রুট। অসংখ্য মানুষ এই পথে তারাপীঠ পৌঁছয়। তাই পূর্ব রেল এই সময় ধারাবাহিকভাবে বিশেষ ব্যবস্থা করে।

এ বছর তারাপীঠে কৌশিকী অমাবস্যার মেলা উপলক্ষে রামপুরহাটে ভক্তদের ভিড় বেশি। UTS কাউন্টার সেলের চিত্রটি নির্দেশ করে যে মেলার প্রথম দিনে ০২/০৯/২০২৪ তারিখে, টিকিট বিক্রির সংখ্যা ১৫৩৪৬।

২০২৩ সালে কৌশিকী অমাবস্যা মেলার প্রথম দিনে রেকর্ড করা হয়েছিল মাত্র ১২৫৯৫৷ কৌশিকী অমাবস্যার মেলার প্রথম দিনে রামপুরহাটে ইউটিএস কাউন্টার বিক্রির উপার্জন রুপি হিসাবে রেকর্ড করা হয়েছে৷ ৯৮৫০৬০/- গতবারেরতুলনায় ২৪.৪৩% বেশি৷

আরও পড়ুন- ভয়ঙ্কর কাণ্ড! হু হু করে বেরোচ্ছে অনর্গল কালো ধোঁয়া, চরম আতঙ্ক বাঁকুড়ায়…

আগের বছরের কৌশিকী অমাবস্যা মেলার প্রথম দিনে ৭,৯১,৬৪০/-। কৌশিকী অমাবস্যা মেলায় ভক্তদের এত বিশাল ভিড়ের প্রত্যাশায়, পূর্ব রেলওয়ে রামপুরহাটে যাত্রীদের সুবিধার জন্য বিস্তৃত ব্যবস্থা করেছে। বিদ্যমান দুটি কাউন্টার এবং চারটি কাউন্টার ছাড়াও পাঁচটি অতিরিক্ত UTS টিকেট বুকিং কাউন্টার খোলা হয়েছে।

ATVM এর সমস্ত সাতটি ইউটিএস টিকেট বুকিং কাউন্টার চব্বিশ ঘন্টা কাজ করছে। তাছাড়া পানীয় জলের ব্যবস্থা, স্টেশন চত্বরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং রামপুরহাটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।

যাত্রীদের সুবিধার্থে রামপুরহাট স্টেশনে চিকিৎসা সহায়তা বুথও দেওয়া হয়েছে। পূর্ব রেলের রামপুরহাট স্টেশনের মধ্য দিয়ে যাত্রীদের আরামদায়ক ভ্রমণ নিশ্চিত করতে হাওড়া বিভাগের কর্মকর্তা ও তত্ত্বাবধায়ক কর্মীরা যথা প্রযুক্ত চেষ্টা করেছে বলেই জানিয়েছে রেল।

রাকেশ মাইতি