General Knowledge: গাড়ি চালান অথচ ৯৯% মানুষই জানেন না, হেডলাইটের হাই বিম এবং লো বিম আলোর ব্যবহার কী!

কলকাতা: চার চাকা এবং দু’চাকা গাড়ির হেডলাইটে দু’ধরনের সেট আপ থাকে। হাই বিম এবং লো বিম। হাই বিম সেট আপে তীব্র আলো হয়। অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে আলো। লো বিম সেট আপে আলো কম হয়, গাড়ির আশপাশ অর্থাৎ কাছাকাছি জায়গাই আলোকিত হয়।

পুরনো মডেলের গাড়িতে হাই বিম এবং লো বিমের জন্য আলাদা বাল্ব থাকত। এখনও কিছু গাড়িতে এমনটা দেখা যায়। তবে আধুনিক মডেলের গাড়িগুলিতে একটা বাল্বেই দুটি ফিলামেন্ট দেওয়া হয়। একটা হাই বিমের জন্য, অন্যটা লো বিমের জন্য।

আরও পড়ুন: মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত দুই ভাই! বাইকে যাওয়ার পথে পিছন থেকে ট্রাক্টরের ধাক্কা, পরিবারে হাহাকার

হাই বিম এবং লো বিমের ব্যবহার: সামনের রাস্তা যখন পুরো ফাঁকা, অন্য কোনও যানবাহন নেই, তখন হাই বিম লাইট ব্যবহার করা হয়। এতে আলো অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। ফলে রাস্তার হাল হকিকত মুহূর্তে বুঝে যান চালক। তবে হাই বিম লাইট জ্বালালে সামনের যানবাহনের চালকদের দেখতে অসুবিধা হয়। কারণ আলো সরাসরি চোখে গিয়ে পড়ে।

তাই সামনে কোন যানবাহন এলে লো বিম লাইট ব্যবহার করতে হয়। এতে গাড়ির আলো শুধু সামনে পড়বে। আশাপাশ আলোকিত হবে। চালক দেখতে পাবেন। সামনের গাড়ির চালকেরও কোনও অসুবিধা হবে না। কারণ আলো তাঁর চোখে লাগবে না।

আরও পড়ুন: দিনে দিনে সস্তা হচ্ছে বাংলাদেশের টাকা, জানেন ভারতের ১০০ টাকা মানে বাংলাদেশের কত?

হাই বিম লাইটের সুবিধা: হাই বিমে লাইটে দূরের জিনিসও দেখা যায়। ফলে রাস্তায় কোনও বাধা আছে কি না সহজেই নজরে পড়ে। দূর্ঘটনাও এড়ানো যায়।

লো বিম লাইটের সুবিধা: লো বিম লাইটে গাড়ির কাছাকাছি যা কিছু আছে সে সব স্পষ্ট দেখা যায়। সোজা কথায়, ওই মুহূর্তে চালকের যা যা দেখা প্রয়োজন, তা নজরে আসে। পাশাপাশি সামনে থেকে আসা যানবাহনের চালকের চোখেও আলো পড়ে না। ফলে দূর্ঘটনার সম্ভাবনা কমে যায়।

সতর্কতা: ফাঁকা রাস্তাতেই হাই বিম ব্যবহার করা উচিত। রাস্তায় অন্য কোনও যানবাহন থাকলে লো বিম লাইট ব্যবহার করাই ভাল। হাই বিম এবং লো বিম লাইট ব্যবহারের সময় রাস্তার অন্যান্য চালকদের কথাও মাথায় রাখতে হবে।