এলন মাস্ক এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প।

Donald Trump- Elon Musk: প্রেসিডেন্ট হলে এলন মাস্ককে মন্ত্রী করতে চান ট্রাম্প! শুনে কী বললেন টেসলার সিইও?

ওয়াশিংটন: ডোনাল্ড ট্রাম্প রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জিতলেই মন্ত্রী হবেন এলন মাস্ক! গুজব নয়, এমন ঘটনাই সত্যিও হতে পারে। সবটাই নির্ভর করছে নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের উপর। রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাস্ককে মন্ত্রী করার কথা জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, “এলন মাস্ক খুব স্মার্ট। দারুণ মেধাবি। আমি ওঁকে মন্ত্রিসভায় রাখতে চাই। অবশ্য যদি রাজি হন।“

ট্রাম্পের প্রস্তাব লুফে নিয়েছেন এলন মাস্ক। ট্রাম্পের সাক্ষাৎকার প্রকাশ্যে আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্ল্যাটফর্ম এক্সে জানিয়েছেন, তিনি রাজি। এক লাইনের একটি পোস্টে লিখেছেন, “পরিষেবা দিতে ইচ্ছুক”। সাক্ষাৎকারে বৈদ্যুতিক গাড়ি থেকে ৭৫০০ ডলারের ট্যাক্স তুলে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ট্রাম্প। সেই প্রস্তাবেও সমর্থন জানিয়েছেন মাস্ক।

আরও পড়ুন: ‘হাসপাতাল ভাঙচুরের সময় পুলিশ কোথায় ছিল?’ আরজি কর নিয়ে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

মাস্কের মন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা অবশ্য অনেক আগে থেকেই। গত সপ্তাহে এক্স প্ল্যাটফর্মে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দীর্ঘ সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন টেসলার সিইও। সেখানে দেশের ঋণ এবং খরচ দেখভালের জন্য তৈরি কোনও কমিশনে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন মাস্ক। শুধু তাই একটি এআই জেনারেটেড ছবিও এক্স প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করেছিলেন তিনি। ছবির বিষয়বস্তু হল– ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি বিভাগে বক্তৃতা দিচ্ছেন মাস্ক। ফলে ট্রাম্পের প্রস্তাব যে তিনি লুফে নেবেন সেটাই স্বাভাবিক।

আরও পড়ুন: ‘আরজি করে মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী’, চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের মামলায় বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

একটা সময় জো বাইডেনের সমর্থক ছিলেন এলন মাস্ক। ডেমোক্র্যাটিকদের সুরেই সুর মেলাতে দেখা যেত তাঁকে। গত মাসে প্রকাশ্য জনসভায় প্রাণঘাতী হামলা হয় ট্রাম্পের উপর। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন তিনি। এরপর থেকেই ছবিটা বদলে যায়। রিপাবলিকান পার্টির দিকে ঝোঁকেন মাস্ক। আরও স্পষ্ট করে বললে ট্রাম্পের দিকে। ট্রাম্পের সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক পোস্টও করেন তিনি।

প্রসঙ্গত শুল্ক বিভাগের একাধিক নিয়ম বদল করতে চান ট্রাম্প। এর ফলে সবচেয়ে লাভবান হবেন গাড়ি নির্মাতারা। টেসলার মতো বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণ সংস্থাগুলিও এর ফায়দা তুলবে। প্রথমবার রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর ইভি ট্যাক্স ক্রেডিট বাতিল করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সম্ভব হয়নি। এরপর জো বাইডেন রাষ্ট্রপতি হলে তিনি এই ট্যক্স চালিয়ে যান। এখন ট্রাম্প ফের এই ট্যাক্স ক্রেডিটের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন। ফলে মাস্কের সমর্থন রয়েছে তাঁর দিকেই।