উত্তর ২৪ পরগনা: ঘূর্ণিঝড় রিমেল স্থলভাগে আছড়ে পড়ার মাঝেই, দুর্যোগ ও বৃষ্টি মাথায় করেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাত জেগে চলেছে কাজ। একদিকে তৈরি হচ্ছে হেলিপ্যাড অন্যদিকে, চলছে সভা মঞ্চ তৈরির কাজ। আর মাত্র কয়েক ঘন্টার অপেক্ষা, তারপরেই প্রায় ৩৭ বছর পর দেশের প্রধানমন্ত্রী আবারও পা রাখবেন অশোকনগরে। জানা যায়, ১৯৮৭ সালে তৎকালীন দেশের প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী কিছু সময়ের জন্য এসেছিলেন অশোকনগরে। তারপর আবারও ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে অশোকনগরে পা রাখতে চলেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আরও পড়ুন: রাতভর দামাল ঝড়ের তাণ্ডবে তছনছ! হিঙ্গলগঞ্জে রাস্তায় উপড়ে গাছ-বিদ্যুৎখুঁটি, লন্ডভন্ড পরিস্থিতি
লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ রেজাল্ট
ইতিমধ্যেই অশোকনগর হরিপুর ময়দানে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে সভাস্থল তৈরির কাজ, তবে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বৃষ্টি ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া। ইতিমধ্যেই মাঠেও জমেছে জল। কিন্তু সব বাধা অতিক্রম করেই চলছে কাজ। প্রধানমন্ত্রী সভাস্থল থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে করা হচ্ছে দুটি হেলিপ্যাড গ্রাউন্ড। যেখানে নামার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। ইতিমধ্যেই বায়ুসেনার তরফে মহড়া চললেও, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় কিভাবে প্রধানমন্ত্রীর হেলিকপ্টার ল্যান্ড করবে, তা নিয়েই এখন সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন প্রশাসনের কর্তারা। শুধু তাই নয়, অশোকনগর বিধানচন্দ্র ক্রীড়াঙ্গনে যেখানে প্রধানমন্ত্রী নামবেন সেখান থেকে সভাস্থল পর্যন্ত কংক্রিটের রাস্তার দু’ধারেও কয়েক কিলোমিটার জুড়ে করে দেওয়া হচ্ছে ব্যারিকেট।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ের ঝাপটায় বিদ্যুৎহীন এলাকা, ভেঙে পড়ছে একের পর এক নদীবাঁধ! হিঙ্গলগঞ্জে রাত জেগে বাঁধ সারাই
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার কারণেই এমন আয়োজন বলেই জানা গিয়েছে। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটবে প্রধানমন্ত্রীর এই সভাস্থলে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে নিরাপত্তায় কোনরকম খামতি রাখতে নারাজ প্রশাসন। ২৮ শে মে দুপুর দুটোয় সভা মঞ্চে ওঠার কথা রয়েছে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। এদিনও বৃষ্টি মাথায় করেই সভাস্থল তৈরির কাজ দেখতে উৎসাহী মানুষদেরও ভিড় চোখে পড়ল হরিপুর ময়দানে। প্রধানমন্ত্রীর আসা নিয়ে অশোকনগর বাসীরা কিছুটা আবেগ তাড়িত হলেও, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া কাটিয়ে আদেও শেষ রক্ষা হবে কি!
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
Rudra Narayan Roy