স্কুলের ছাদে ড্রাগন ফল চাষ

South 24 Parganas News: মিড ডে মিলে ড্রাগন ফল! স্কুলের ছাদবাগানের ফলনেই পুষ্টির জোগান ছাত্রদের

বারুইপুর:  স্কুলের ছাদ ফাঁকা পড়ে আছে৷ তাকেই সবুজায়নের কাজে লাগালেন বারুইপুর মদারাট পপুলার একাডেমি স্কুলের শিক্ষকরা৷ জমি পাওয়া মুশকিল, তাই ছাদের সদব্যবহার করলেন প্রকৃতিপ্রেমী শিক্ষকরা৷ সেখানেই চারা পোঁতা হয়েছিল ড্রাগন ফলের৷ তাতেই সাফল্য৷ ছাত্ররাও খাচ্ছে এই ফল। মদারাট পপুলার একাডেমি স্কুলের ছাদবাগান এখন দিশা দেখাচ্ছে অন্যান্য স্কুলগুলিকেও৷

ক্রমাগত নগরায়ন এবং গাছকাটার ফলে বাড়ছে তাপমাত্রা ৷ এ নিয়ে ছাত্রদের পাঠ দেন শিক্ষকরা৷ তবে শুধু তো বই পড়া বিদ্যায় শিক্ষা সম্পূর্ণ হয় না, প্রয়োজন পড়ে হাতেকলমে পাঠের। ছাদবাগানের পরিচর্যা করতে করতে বিজ্ঞানের পাঠও পাচ্ছে ছাত্ররা, দাবি শিক্ষকের। তিনি বলেন, “সরকারি বিভিন্ন স্কুলের ছাদে সোলার প্যানেলের মাধ্যমে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। কিন্তু আরও বেশি জায়গা অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেখানে সবুজায়নের উদ্যোগ নেওয়াই যায়।” স্কুলের পক্ষ থেকে গাছ লাগানো এবং তার পরিচর্যার সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ নজির গড়েছে এলাকায়।

ব্যস্ত সময়ে বাড়িতে বাগান করা এবং তার পরিচর্যা বেশ কষ্টকর বলেই মনে করেন শিক্ষক। তার থেকে স্কুলে থাকার সময়েই অবসর খুঁজে নিয়ে বাগানে একটু করে সময় দেওয়ার পক্ষপাতী তিনি। শুরুতেই লাগিয়েছেন ড্রাগন ফল, কারণ অত্যন্ত কম যত্নেই এই চাষ সম্ভব হয়। মদারাট পপুলার একাডেমি স্কুলের শিক্ষকরা দাবি করছেন, বাজারে প্রাপ্ত ড্রাগন ফলের তুলনায় স্কুলের ছাদবাগানে ফলা ড্রাগন ফলের গুণগতমান অনেক বেশি। খেতেও ভাল। স্কুলের ছাত্ররা মিড ডে মিলের পাতে এখন উপভোগ করছে এই বাড়তি পুষ্টিকর ফল। বাজার থেকে কিনে খেতে হচ্ছে না ড্রাগন ফল।

এই সাফল্যের দিকে তাকিয়ে ভবিষ্যতে ছাদের বাকি অংশগুলিও কাজে লাগানোর কথা ভাবছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি এলাকার অন্যান্য স্কুল যদি এই ধরনের উদ্যোগ নিতে চায়, তাদেরও চারাগাছ সরবরাহ করে চাষের কাজে সাহায্য করার আশ্বাস দেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন: ৭৫ বছর বয়সে একমাত্র এই ফল চাষ করে লাভ করছেন বৃদ্ধ! জলও লাগে না

বঙ্গে এখন বিপুল ফলন ড্রাগন ফলের। সম্প্রতি বর্ধমানে বাড়ির বাগানে ড্রাগন ফল চাষ করে শিরোনামে এসেছেন ৭৫ বছরের এক বৃদ্ধ। বাগানের ফল বাজারে বিক্রি করে উপার্জন করছেন তিনি। তার পরই দক্ষিণের স্কুলের ছাদবাগানের ছবি সাড়া ফেলে দিল।

সুমন সাহা