কলকাতা: প্রথমবার ডুরান্ড ফাইনাল খেলতে নামছে নর্থইস্ট। প্রতিপক্ষ শক্তিশালী মোহনবাগান। তবে সবুজ মেরুনকে সমীহ করলেও নর্থইস্ট শিবিরের হুঙ্কার, ‘ট্রফি জিততেই এসেছি আমরা।’
ডুরান্ড কাপ ফাইনালের ২৪ ঘণ্টা আগে নর্থ ইস্ট অধিনায়ক মিচেল জাবাকোকে পাশে কোচ জুয়ান পেড্রো জানান, “ট্রফিই পাখির চোখ।” প্রথমবার কোনও সর্বভারতীয় ট্রফির ফাইনালে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড। গত বছর নকআউটে উঠলেও ইস্টবেঙ্গলের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল। এবার ফাইনালে বাংলার আরেক দল মোহনবাগান। তবে অতীত নয়, সামনে তাকাতে চাইছে নর্থইস্ট ইউনাইটেড।
প্রথমবার ট্রফি জেতার সাক্ষী থাকতে দলের কর্ণধার বলিউড তারকা জন আব্রাহাম শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে থাকবেন। ইতিমধ্যেই কলকাতায় এসে দলকে ভোকাল টনিক দিয়েছেন বলিউড তারকা জন। তাই দলের মালিকের মুখে হাসি ফোটানোকে একমাত্র লক্ষ্য স্থির করেই নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড ডুরান্ড ফাইনালে মোহনবাগান সুপারজায়ান্টকে চ্যালেঞ্জ ছুড়তে মরিয়া।
কোচ জুয়ান পেদ্রো বলছেন, “কলকাতায় খেলা সবসময়ই একটা আনন্দের বিষয়। ফাইনালে আমাদের কিছুই হারানোর নেই। আমরা আনন্দ করে খেলব এবং দারুন একটা স্টেডিয়ামে দারুন সমর্থকদের সামনে দুর্দান্ত একটা ম্যাচ উপহার দেব।” আইএসএলে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড মাঝারি মানের দল। কিন্তু প্রথম সারির দলগুলোকে চ্যালেঞ্জ ছুড়তে ওস্তাদ। ডুরান্ড কাপেও তারা প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ ছুড়েই ফাইনালে। সামনে ট্রফি জয়ের হাতছানি।
ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে জুয়ান পেদ্রো বলছেন, “আমাদের লক্ষ্য আরও ভাল দল গঠন করা। আমরা প্রত্যেকটা ম্যাচ আলাদা করে ভাবি।” প্রতিপক্ষ মোহনবাগান সুপারজায়ান্টের আক্রমণভাগ যে কোনও রক্ষণের কাছে দুঃস্বপ্নের। মোহনবাগান সুপারজায়ান্টের আক্রমণভাগের প্রশংসা নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড কোচের মুখে। পেদ্রো বলেন, “দ্রিমিত্রি পেত্রাতোস, সাহাল আব্দুল সামাদ, মনবীর সিং, বিশাল কাইথদের দারুন ফুটবলার। আমরা সবাই নিজেদের সেরা অস্ত্রগুলিই ব্যবহার করব। আমরা শুধু ফাইনালটা খেলতে আসিনি , জিততে এসেছিয। ওরা ১২ গোল করলে আমরা ওদের ১৩ নম্বর গোলটিকে আটকানোর চেষ্টা করব। আমরা সমগ্র নর্থইস্ট ইউনাইটেডের জন্য খেলব। আমরা ইতিহাস বদলাতে এসেছি। ”
শিলং লাজংকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ট্রফি জয়ের শেষ ধাপে পৌঁছেছে নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড। অন্য সব দলের মত তারাও যে প্রস্তুতি পর্বে, তা জানিয়েছেন কোচ। দর্শকঠাসা যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনকে চাপ হিসেবে দেখতে চান না। বরং দর্শক ঠাসা স্টেডিয়ামকে ভালো খেলার অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখছেন জুয়ান পেদ্রো।