বাঁকুড়া: ছাতনা রাজার কাছে ছিলেন বন্দি। রাজাকে বন্দী দশায় বলেছিলেন, “আমাকে ছেড়ে দিন আমি দুর্গাপুজো শুরু করব।” এমন অনুরোধ শুনে, তৎকালীন সামন্তভূমের রাজা ছেড়ে দেন বন্দীকে। কথা অনুযায়ী শুরু হয় পুজো। রাজা মুক্তি দিয়েছিলেন বক্সী পরিবারের এক সদস্যকে। এভাবেই শুরু হয় ছাতনার প্রায় সাড়ে ৩৫০ বছরের পুরানো দুর্গা পুজোর ইতিহাস। পারিবারিক এই পুজো, যা এলাকায় বক্সীদের পুজো নামে বিখ্যাত। একেবারে শিব দুর্গা প্রতিমা।
মায়ের পাশে বসে রয়েছেন মহাদেব। বক্সি বাড়ির সকলে জমা হন পুজোর দিন গুলোতে। বেশ আনন্দে কাটছে পুজোর চারদিন।তৎকালীন সময়ে পুজো শুরু হয়েছিল, চালি আর খইয়ের লাড্ডু দিয়ে।
সেই কারণে আজও এই প্রথা মেনে চলছে পুজো। সত্যিই অনুসন্ধান না করলে জানা যায় না কত কিছু! আপাতদৃষ্টিতে দেখে মনে হতেই পারে যে একটি পারিবারিক পুজো, নিষ্ঠা ভোরে পালন করা হচ্ছে। প্রতিমা দেখেও বেশ নজর কাড়বে, তবে নেপথ্যে রয়েছে একটি মনোরঞ্জক গল্প।
সামন্তভুম ছাতনা, তৎকালীন সময়ে একটি মহা গুরুত্বপূর্ণ এবং শক্তিশালী ক্ষেত্র। ৬৫০ বছর আগে শুরু হয় ছাতনা রাজবাড়ির বিরাট পুজো। আর তার নেপথ্যে লুকিয়ে রয়েছে বক্সি বাড়ির পুজোর গল্প।বাঁকুড়ার নানা চমকপ্রদ থিম গুলির মধ্যে আনন্দ খুঁজে পাওয়া যায় অবশ্যই, আলোকসজ্জা দেখলে চোখ ধাঁধিয়ে যায় রীতিমত।
তবে গ্রাম বাংলার সাবেকি পারিবারিক পুজোর একটি আলাদা গন্ধ রয়েছে। এই পুজোগুলির মধ্যে যেন ফুটে ওঠে হাজার না বলা গল্প এবং ঐতিহ্য। ছাতনার বকশি বাড়ির পুজো তার মধ্যে অন্যতম।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী