Puja Parikrama: পুজো দেখার দারুণ সুযোগ, বাসে করে দেখে আসুন সেরার সেরা প্রতিমা-মণ্ডপ, কোথায় পাবেন টিকিট? জানুন

কোচবিহার: বাঙালির সর্বকালের শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গা পুজো। দুর্গা পুজো মানেই বাঙালির এক আলাদা আবেগ। তাই তো বাঙালির দুর্গা পুজোয় জমিয়ে খাওয়া দাওয়া থাকবে না কিংবা ঘুরতে যাওয়া থাকবে না তাও আবার হয় নাকি। আর মাত্র কয়েকদিন বাকি দুর্গা পুজোর। তাইতো দুর্গা পুজো উপলক্ষ্যে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে প্রত্যেক বাঙালি। এবারে এক আকর্ষণীয় সুযোগ নিয়ে এল উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিগম। জেলা কোচবিহারের বাসিন্দাদের জন্য ওই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। দুর্গা পুজোয় উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাসের মাধ্যমে পুজো পরিক্রমা করার সুযোগ নিয়ে এসেছে।

কোচবিহারের এক প্রবীন বাসিন্দা জগতারণ বর্মন জানান, “জেলা কোচবিহারের বাসিন্দাদের জন্য এই বিশেষ সুযোগ সত্যিই দারুণ। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম যে চিন্তা ভাবনা করেছে তা সত্যিই প্রত্যেকটি মানুষের জন্য অনেকটাই ভাল। দূর-দূরান্তের বহু পুজো মন্ডপ বহু মানুষ দেখে উঠতে পারেন না পর্যাপ্ত মাধ্যম না থাকায়। তবে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিগমের বাসের মাধ্যমে যদি পুজো পরিক্রমা করানো হয়। তবে সেক্ষেত্রে কোচবিহারের মানুষেরা অনেকটাই সুবিধা পাবেন। এতে শুধুমাত্র প্রবীণ বাসিন্দারাই নয়। প্রত্যেকটি মানুষ এই সুবিধার সুযোগ নিতে পারবেন।”

আরও পড়ুনPoor People Dry Fruits: গরিবের ড্রাই ফ্রুট, পুষ্টির খনি, ভিটামিনের পাওয়ার হাউস! কোলেস্টেরল দূর করে শরীর করবে লোহার মতো

জেলার আরও দুই প্রবীণ বাসিন্দা বুদ্ধদেব মুখোপাধ্যায় ও পঙ্কজ কুমার আচার্য জানান, “প্রবীণ বাসিন্দাদের জন্য উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিগমের এই বিশেষ সুযোগ বেশ অনেকটাই বড় সুবিধা এনে দেবে। বর্তমান সময়ে এই ধরনের বিশেষ ব্যবস্থা নিলে প্রবীন মানুষদের অনেকটাই সুবিধা হবে। তবে প্রবীন বাসিন্দারা ছাড়াও আরও বহু মানুষেরা এই সুবিধার সুযোগ নিতে পারবেন। তবে আগে এই ধরনের সুবিধা কিন্তু উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিগমের পক্ষ থেকে ছিল না। তাই পুজোর মুখে এই ধরনের বিশেষ সুযোগ পেয়ে বেশ অনেকটাই খুশি কোচবিহারের মানুষেরা।”

কোচবিহারের মানুষদের মধ্যে এক আলাদা উদ্দীপনা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে এই গোটা বিষয়টি নিয়ে। প্রবীন মানুষদের থেকে শুরু করে সমস্ত বয়সীরা এই বিষয়টি নিয়ে উৎসাহ প্রকাশ করছেন। তাইতো উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার এই বিষয়টি বেশ অনেকটাই খুশি করতে পেরেছে জেলার মানুষদের।

Sarthak Pandit