প্রতিমা তৈরি করছেন বাসন্তী দেবী

Durga Puja 2024: স্বামীর কাছে হাতেখড়ি, এখন প্রতিমা গড়েই সংসার চলছে মহিলা মৃৎশিল্পীর

মালদহ: স্বামীর কাছেই শিখেছিলেন প্রতিমা তৈরি। আর এখন সেই প্রতিমা গড়েই চলছে সংসার, তাঁর সঙ্গে স্বামীর শিল্পসত্বাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন বাসন্তী দাস।  স্বামীর মৃত্যুর পর সেই শিল্পকেই পেশা করে সংসার চালাচ্ছেন পুরাতন মালদহের নলডুবির মৃৎশিল্পী বাসন্তী দাস। তাঁর বয়স এখন ৫০ বছর। জীবনের অর্ধেক সময় পার হয়ে গেলেও তবুও গত তিন দশক অর্থাৎ ত্রিশ বছর ধরে দুর্গা প্রতিমা গড়ার কাজ করে চলেছেন তিনি। বছর সাতেক আগে স্বামী মারা গিয়েছেন। তিনিও পেশায় মৃৎশিল্পী ছিলেন। স্বামী মারা যাবার পর এখন সব দায়িত্ব এবং কর্তব্য কার্যত বাসন্তী দেবীর কাঁধে।

আরও পড়ুন: ডিঙি বেয়ে, কখনও সাইকেল ঠেলে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছেন এই দুই নারী! কেন? দেখুন

এই প্রসঙ্গে বাসন্তী দাস বলেন, “স্বামীর কাছে এই কাজ শিখেছিলাম। স্বামী মৃত্যুর পর কী কাজ করব ভেবে না পেয়ে প্রতিমা তৈরি শুরু করি। এখন এই কাজ করেই সংসার চলছে ছেলে আমাকে সাহায্য করছে।”

আরও পড়ুন: ‘রাজনীতি ছেড়ে দেব!’ গভীর রাতে হঠাৎ হুঁশিয়ারি তৃণমূল বিধায়কের, তুমুল জল্পনা

সংসারের হাল ধরতে মৃৎশিল্পী পেশাকে কার্যত আঁকড়ে ধরে রেখেছেন। এবার তিনি চারটে বড় দুর্গা প্রতিমা তৈরি করছেন। পুরাতন মালদহের মঙ্গলবাড়ি পঞ্চায়েতের নলডুবি বাগানপাড়ায় বাড়ি বাসন্তী দাসের। তাঁর স্বামী কৃষ্ণ দাস মৃৎশিল্পী ছিলেন। বাসন্তি দেবীর তিনটি মেয়ে এবং একটি ছেলে রয়েছে। স্বামী মারা যাবার পর খুব কষ্টে সংসার চলে। প্রতিবেশী সনোকা ঘোষ বলেন, বাসন্তী আমাদের গ্রামের গর্ব। স্বামী মারা যাবার পর, সংসার চালাতে তিনি নিজেই প্রতিমা তৈরি করছেন। বাড়িতে জায়গা নেই, আমার বাড়ির এক পাশে প্রতিমা তৈরি করছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের পরামর্শে তিনি এই পেশা ধরে রেখেছেন। নিজস্ব জায়গা নেই। অন্যের বাড়িতে প্রতিমা গড়ছেন তিনি। বছরভরই তিনি কালী, মনসা বিভিন্ন প্রতিমা গড়েন। অনেক মহিলাদের প্রতিমা তৈরিতে উৎসাহ দেন। কিন্তু তাঁর আক্ষেপ এই বিষয়ে, কেউই কেউ এগিয়ে আসে না। শুধু প্রতিমা গড়তে নিজের ছেলে কিশোর দাস তাঁকে সহযোগিতা করেন।

দুর্গা পুজো ২০২৪, ফিচার , পুজো 360, পুজো ইন্টিরিয়র, পুজোর রেসিপি, দুর্গা পুজোর ভ্রমণ, বনেদি বাড়ির পুজো, জেলার পুজো, অন্য পুজো

হরষিত সিংহ