প্রতিকী ছবি

Durgapuja 2024: বন্ধ চা বাগান! উৎসবের আনন্দ ম্লান! পুজোয় বাজছে বিষাদের সুর

আলিপুরদুয়ার: চা পাতায় জমেছে ধুলোর পরত। অযত্ন বাগানের প্রতিটি কোণে,জানান দেয় বাগান বন্ধের। পুজো এলেও  শরৎ-এর প্রবেশ যেন নিষেধ এই বন্ধ বাগানগুলিতে। তাই  দুর্গা পুজো ঘিরেও নিয়ে নেই কোনও উৎসাহ। উৎসবেও বন্ধ বাগানগুলি।

আরও পড়ুন: দুর্যোগ কাটেনি, মেঘলা আকাশের ভোল পাল্টে যাবে, উত্তরে আকাশের দশা কেমন থাকবে পুজোয়

আলোর রোশনাই দূরেই থাকে, বন্ধ বাগানের অধিকাংশ বাড়িগুলিতে বিকেল হলে জ্বলেনা বাতিও।কিন্ত এক সময় বাগানগুলোতে ধূমধাম করে আয়োজিত হত দূর্গোৎসব। বিভিন্ন অনুষ্ঠান, মেলা বসত, দূর দূরান্ত থেকে শিল্পীরা আসত। চা বাগানে অনুষ্ঠানের আয়োজন হত,সেই সমস্ত কিছু এখন অতীত। বন্ধ চা বাগানে এখন পুজো হয় নামেই।ডুয়ার্সের আলিপুরদুয়ার প্রতিটি বন্ধ চা বাগানে এক ছবি। গত বছর পুজোর সময় বন্ধ হয়ে যায় রায়মাটাং, দলসিংপাড়া, কালচিনি চা বাগান।

আরও পড়ুন: দার্জিলিংয়ের এই মন্দিরেই হরিদ্বার থেকে বৈষ্ণোদেবীর আমেজ! ছুটিতে পুজো দিয়ে আসুন

এবছরেও দুমাসের টাকা বকেয়া রেখেই বন্ধ হয়ে যায় তোর্ষা চা বাগান। পাশাপাশি বন্ধ হয়ে যায় মহুয়া চা বাগানও।

জেলায় বর্তমানে সাতটি চা বাগান বন্ধ। এই বন্ধ চা বাগান গুলিতে পুজোর আয়োজন হয়েছে তবে আগের মত চমক নেই।কোনো রকমে ছোটো করে আয়োজন করা হয়েছে পুজোর। সরকারি অনুদানই এখন চা বাগানগুলির ভরসা।

রায়মাটাং, কালচিনি চা বাগানের শ্রমিকরা জানান, অনেকেরই পুজোর নতুন কাপড় হয়নি, শ্রমিকরা নিজেদের ছেলেমেয়েদের নতুন জামাকাপড় দিতে পারেনি।  এরমধ্যে অনেকেই আবার কাজের সন্ধানে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়েছেন, তারা এবার পুজোতে আসতে ও পারবেনা। বন্ধ চা বাগানের পুজো কমিটির সদস্যরা জানান এককালে বড় করে পুজোর আয়োজন হত। বিভিন্ন অনুষ্ঠান হত চারদিন ব্যাপী কিন্ত এগুলো সব অতীত। এখন ছোটো করে হচ্ছে পুজো।বন্ধ বাগানে আগমনীর সুর শুধুই বয়ে আনে বিষাদ।
Annanya Dey