কলকাতা: আরজি কর নিয়ে বিক্ষোভের আবহে কিছু দিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুরোধ করেছিলেন উৎসবে ফিরতে। শুক্রবার আরও একবার পুজোর গুরুত্ব মনে করিয়ে দিতে চাইলেন রাজ্যবাসীকে। মমতা বললেন, “গ্রামের লোকেরা পুজোর মাধ্যমে নানা রকম জিনিস বিক্রি করেন। নানা রকম কর্মক্ষমতার মধ্যে দিয়ে প্যান্ডেল তৈরি করেন। আদিবাসী নৃত্য থেকে শুরু করে সমস্ত কেনা বেচার নানারকম সুযোগ পান। এই সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি পুজো কমিটিগুলোর কাছে আবেদন জানাব।”
তিনি আরও বলেন, “যেহেতু বর্ষার কয়েকটা দিন ব্যবসার ক্ষতি হয়েছে, তাই আমি ছোট ছোট হকার থেকে শুরু করে ছোট থেকে বড় দোকানদার যাঁরা পুজোকে কেন্দ্র করে সারা বছরেরে উপার্জন করেন, তাঁদের যাতে একটা রাস্তা খুলে যায় সেই কথা ভাবতে হবে। তাঁদের আয় যাতে বাড়ে এবং গরিব মানুষরা যাতে সুযোগ পান,এবং ক্রেতারা যাতে সামগ্রিক কেনাকাটার ব্যাপারে সামগ্রিক সুযোগ পান সেই জন্য এক ছাদের তলায় এটা করা হয়েছে।”
আরও পড়ুন- আমাদের জাতীয় মিষ্টি কী বলুন তো? রসগোল্লা নয় কিন্তু…
কেনাকাটায় সবাইকে উৎসাহিত করতে মমতা বলেন, “বেঙ্গল শপিং ফেস্টিভ্যালের সাফল্য কামনা করি। সঙ্গে সঙ্গে বলব, সেল্ফ হেল্পগ্রুপগুলোকে বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে স্টল দিতে। ছোট ছোট স্টল থাকলে মানুষজন কেনাকাটা করতে পারবেন। এতে বিক্রেতাদের ইনকাম হবে, ক্লাবগুলোরও ইনকাম হবে।”
আরও পড়ুন- টিউশন পড়তে বেরিয়ে আর ফিরল না ছেলে! ঝোপের মধ্যে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মিলল দেহ!
এর পরেই রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, “আমার গ্রামবাংলা জলে ভাসছে,এই বন্যা বৃষ্টির জন্য নয়,জল ছাড়ার বন্যা, ডিভিসি প্রচুর জল ছেড়েছে, এবং এটা পরিকল্পিত বন্যা। আমি বন্যা ত্রাণ নিয়ে ব্যস্ত আছি এবং গোটা পরিস্থিতি মনিটরিং করছি।” উৎসবে ফেরায় জোর দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রতি বছর শপিং ফেস্টিভ্যাল করুন,ভাল করে করুন। বাংলার সম্মানকে তুলে ধরুন। যারা বাংলার সম্মানকে ভু-লুণ্ঠিত করছেন তাদের জন্য নয়। মনে রাখবেন, বাংলা সবার উপরে। বাংলার একদিকে শস্য ক্ষেত্র ডুবে গেছে তাদের সাহায্য করতে হবে। আমরা তাদের পাশে আছি। তাড়াতাড়ি বন্যার জল থেকে মানুষ শান্তি পাক। দুর্ভোগ কাটানোর প্রার্থনা সকলে করবেন।”