বীরভূম: বন্যা পরিস্থিতি সরেজমিনে জেলা সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্যোগপীড়িত সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দিচ্ছেন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ও ত্রান সামগ্রী। নিম্নচাপের বৃষ্টি এবং ডিভিসির ছাড়া জলে ডুবেছে একাধিক জেলা। সোমবার পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক অফিসে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক শেষে তিনি চলে যান পশ্চিম বর্ধমান এবং বাঁকুড়া সীমান্তে, সীতারামপুর গ্রামে। এর পর মঙ্গলবারও বীরভূমে প্রশাসনিক সভা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। বোলপুর গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম থেকে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আবারও সতর্কতামূলক বার্তা দিলেন তিনি।
আরও পড়ুন- ‘এ কষ্ট চোখে দেখা যায় না!’ আবার সেই পুরনো ফর্মে! বাঁকুড়ায় যা করলেন মমতা, চমকে উঠবেন জেনে
বৃষ্টির বিরাম নেই। আগের দিনও সীতারামপুর গ্রাম পরিদর্শন করে বেশি এগোনো যায়নি আবহাওয়ার ফেরেই। মঙ্গলবার মমতা বললেন, “বন্যা পরিস্থিতিতে প্রায় ৯০% কাজ ভাল হয়েছে। যেহেতু বীরভূমে অনেক জায়গায় বন্যা হয়েছিল তাতে জল নামলেও কাদা হয়েছে। বিভিন্ন বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী দুই তিনদিন ভারী বর্ষা আছে। সেদিকে নজর রাখতে হবে।”
আরও পড়ুন- ধোনির মেয়ে পড়ে ঘরের কাছের এই দারুণ স্কুলে! কত ফি? জানলে আপনিও পাঠাবেন সন্তানকে!
এর পরেই মমতা বলেন, “বিধায়করা গ্রামীণ রাস্তায় খরচ করবে তাদের টাকা। আর সাংসদরা এক কোটি স্কুলে, চার কোটি গ্রামীণ রাস্তায় দেবে। ডিভিসির জল ছেড়ে ‘ম্যানমেড ফ্লাড’ করা হয়। ঝাড়খন্ডের জলে প্রতিবছর বন্যা করা হয়। ১৯৯৯ সালে শেষবার এত জল ছাড়া হয়েছিল। আমরা সব মনিটরিং করছি। এখন জল কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রক ছাড়ে। খানাকুল, ঘাটাল, আমতা, উদয়নারায়ণপুর এখনও জলের তলায় আছে। মুখ্যসচিব ,মন্ত্রীরা পরিদর্শন করেছেন। একাধিক জায়গায় কমিউনিটি কিচেন আছে। ৬৫ হাজার বাড়ি মাইনরিটি বিভাগ থেকে করে দিচ্ছি। এগারো লক্ষ বাড়ির জন্য সমীক্ষা করা হচ্ছে। এখনও ৫০ লক্ষ মাটির বাড়ি বাংলায় আছে।”
মমতা জানান, বন্যা কবলিত সকলের সুস্থতা নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। নিরন্তর মানুষের পাশে থাকার আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী।