পাঞ্চেত জলাধার থেকে মঙ্গলবার ৪৯০০০ কিউসেক জল ছাড়ার কথা। এই দুই জলাধারের জল দামোদর নদী বেয়ে দুর্গাপুর ব্যরেজে পৌঁছায়। ফলে সেখান থেকেও জল ছাড়ার পরিমাণ বেড়েছে।

DVC water release: জল ছাড়ছে ডিভিসি, বন্যা পরিস্থিতির কীরকম অবস্থা পূর্ব বর্ধমান জেলার? শুনলে চমকে যাবেন

বর্ধমান: ক্যাচমেন্ট এলাকায় ভারী বর্ষণের জেরে জল ছাড়া হচ্ছে জলাধারগুলি থেকে। মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে জল ছাড়ছে ডিভিসি। দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ওই জল দামোদরে ছাড়া হচ্ছে। তার ফলে দামোদরের জলস্তর বাড়বে তবে এতে এখনই উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই বলেই মনে করছে প্রশাসন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঞ্চেত জলাধার থেকে ৬৫ হাজার কিউসেক ও মাইথন জলাধার থেকে ১০ হাজার কিউসেক করে জল ছাড়া হচ্ছে।
সেচের জন্য ২৫ জুলাই পাঞ্চেত ও মাইথন জলাধার থেকে জল ছেড়েছিল ডিভিসি। সেই জল ২৭ জুলাই দুর্গাপুর জলাধার থেকে ছাড়া হয়। তার সঙ্গে শুরু হয় প্রবল বর্ষণ। ফলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় পূর্ব বর্ধমান জেলায়। জেলা প্রশাসন সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই জেলায় দেড়শোরও বেশি গ্রাম জলবন্দি হয়ে পড়েছে। খোলা হয়েছে ত্রাণ শিবির। সেখানে দুর্গত মানুষদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ত্রিফলার প্রভাবে লাগামছাড়া বৃষ্টি, একটানা দুর্যোগ…! কবে মিলবে মুক্তি? রইল ‘বড

বৃষ্টি থামলেও এখনও জলমগ্ন গুসকরা পুরসভার একাধিক এলাকা।  উদ্ধার কাজ শুরু করেছে স্থানীয়রা। বৃহস্পতিবারের টানা বৃষ্টি ও কুনুর নদীর জল বাড়ার ফলে এখনও জলমগ্ন গুসকরা পুরসভার ১,২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কিছু এলাকা। বাড়িতে জল ঢুকে বাড়ির মধ্যেই আটকে রয়েছে বেশ কয়েকটি পরিবার। শনিবার সকাল থেকে স্থানীয়রাই শুরু করেছে উদ্ধার কাজ। পাশাপাশি প্রশাসনের তরফেও বেশ কিছু পরিবারকে উদ্ধার করা হয়।কয়েকটি পরিবারকে উদ্ধার করা গেলেও এখনও আটকে রয়েছেন বেশ কয়েকজন।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,বৃহস্পতি বার টানা বৃষ্টিপাত ও কুনুর নদীর জল উপচে গুসকরা পুরসভার বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত করেছে।
জলবন্দি হয়ে রয়েছে, ভাতার ব্লকের বেশ কয়েকটি গ্রাম। একই অবস্থা মন্তেশ্বর, বর্ধমান এক নম্বর ব্লকে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, জেলা শাসকের অফিসে বিশেষ কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সব ব্লকে ত্রিপল পাঠানো হয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী মজুত রয়েছে। তৈরি রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকেও।