পুরস্কার নিচ্ছেন নবকুমার বাবু 

East Bardhaman News: বর্ধমানের এই গ্রামের ব্যক্তি পেলেন রাষ্ট্রপতির হাতে ‘বিজ্ঞান শ্রী’ পুরস্কার 

পূর্ব বর্ধমান: রাষ্ট্রপতির হাত থেকে “বিজ্ঞান শ্রী” পুরস্কার পেলেন বর্ধমানের বিজ্ঞানী। আবারও এক বঙ্গসন্তানের জয়জয়কার! রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করলেন, পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি থানার অন্তর্গত, দলুই বাজার-১ অঞ্চলের বেলুট গ্রামের নবকুমার মন্ডল। রাষ্ট্রপতি শ্রীমতী দ্রৌপদী মুর্মু ২৩ অগাস্ট, রাষ্ট্রপতি ভবনের গনতন্ত্র মণ্ডপে অনুষ্ঠিত এক পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রীয় বিজ্ঞান পুরস্কার – ২০২৪ “বিজ্ঞান শ্রী” প্রদান করেছেন। যেখানে মোট ১৩ জন বিজ্ঞানী “বিজ্ঞান শ্রী” পুরস্কার পেয়েছেন। আর এই ১৩ জন বিজ্ঞানীদের মধ্যে একজন হলেন বর্ধমানের নবকুমার বাবু।

আরও পড়ুন: পাহাড়, জঙ্গলে ঘেরা সবুজের সমারোহে এবার যোগ হল বোটিংয়ের মজাও! কলকাতার কাছেই এই জায়গা ঘোরার সেরা ঠিকানা

রাষ্ট্রীয় বিজ্ঞান পুরস্কারের প্রথম সংস্করণে, বিজ্ঞানশ্রী, বিজ্ঞান রত্ন, বিজ্ঞান যুব এবং বিজ্ঞান দল – এই চারটি বিভাগে বিশিষ্ট বিজ্ঞানীদের মধ্যে ৩৩টি পুরষ্কার প্রদান করা হয়েছে। তারই মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিশিষ্ট অবদান রেখেছেন এমন বিজ্ঞানীদের দেওয়া হয়েছে বিজ্ঞান শ্রী পুরস্কার৷ এবছর প্রথম এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান চালু হয়েছে। আর বর্ধমানের বিজ্ঞানী ডঃ নবকুমার মন্ডল এই সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন। নবকুমার বাবু এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, “সারাজীবনের কাজের একটা পুরস্কার। পুরস্কার পেয়ে খুবই ভাল লাগছে।”

আরও পড়ুন: সোশ‍্যাল মিডিয়াতে CBI-কে তুলোধনা অভিষেকের! বেঁধে দিলেন তদন্তের সময়সীমা!

বর্তমানে নবকুমার বাবু কর্মসূত্রে কলকাতার রাজারহাটে থাকলেও, বহুবছর তিনি কাটিয়েছেন বর্ধমানে। বর্ধমানের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে তাঁর একাধিক স্মৃতি। দলুই বাজার ১ অঞ্চলের বেলুট গ্রামে অত্যন্ত সাধারণ পরিবারে নবকুমার বাবুর জন্ম। শৈশব কেটেছে এই গ্রামের মাঠে-ঘাটে আর পাঁচটা সাধারণ ছেলেমেয়েদের মত। বেলুট নিম্ন বুনিয়াদি প্রাথমিক স্কুলে প্রথম পড়াশোনা। পরবর্তীতে স্কুলের গণ্ডি পার করে উচ্চশিক্ষার জন্য বর্ধমানের রাজ কলেজ থেকে স্নাতক হয়েছেন। স্নাতকোত্তরও পাস করেছিলেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই। এরপর কর্মসূত্রে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় তাঁকে থাকতে হয়েছে। তবে তাঁর জন্মভূমিকে তিনি ভুলে যাননি।

এখনও ছুটি পেলেই তিনি ছুটে আসেন গ্রামের বাড়িতে। নবকুমার বাবুর দাদা বিশ্বনাথ মণ্ডল জানিয়েছেন, “খুব ভাল লাগছে আনন্দ হচ্ছে খুব। সকলেই আমরা খুবই গর্বিত। ওনি যে কাজ করেছে এতদিন ধরে আমরা আশা করেছিলাম ও পুরস্কার পাবে। উনি শেষের দিকে প্রায় ৮-১০ বছর ধরে একটা বিশেষ প্রজেক্ট এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেই প্রোজেক্টের নাম ইন্ডিয়া বেস্ট নিউট্রিনো অবজারভেটরি। শর্ট ফর্ম আই এন ও। নবকুমার বাবুর এহেন সাফল্যে খুশি হয়েছেন সকলেই। পরিবার-সহ গ্রামজুড়ে বর্তমানে বইছে খুশির হাওয়া।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী