Supreme Court ED Verdict: ইডির ক্ষমতায় রাশ টানল সুপ্রিম কোর্ট! আদালতের নির্দেশ ছাড়া অর্থ তছরুপ মামলায় গ্রেফতারি নয়, জানাল বেঞ্চ

নয়াদিল্লি: লোকসভা নির্বাচনের মাঝেই গুরুত্বপূর্ণ রায় ঘোষণা করল দেশের শীর্ষ আদালত৷ আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্টয ডিরেক্টরেট, ইডির ক্ষমতায় খানিক রাশ টানল সুপ্রিম কোর্ট৷ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং উজ্জ্বল ভুঁইয়ার বেঞ্চ বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিল, বিশেষ আদালতে বিচারাধীন ‘বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইন’ (পিএমএলএ) মামলার ১৯ নম্বর ধারায় (অর্থ নয়ছয়) অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আর নিজে থেকে গ্রেফতার করতে পারবে না ইডি।

যদি ইডি কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে চায়, তাহলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সংশ্লিষ্ট বিশেষ আদালতের কাছে আবেদন করতে হবে৷ আদালত সম্মতি দিলে তবেই করা যাবে গ্রেফতার৷

আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, ‘‘ধারা ৪৪-এর অধীনে একটি অভিযোগের ভিত্তিতে PMLA এর ধারা ৪ এর অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধের স্বীকৃতি নেওয়ার পরে, ED এবং তার আধিকারিকরা অভিযোগে অভিযুক্ত হিসাবে দেখানো ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার জন্য ১৯ ধারার অধীনে ক্ষমতা প্রয়োগ করার বিষয়ে ক্ষমতাহীন৷’’

আরও পড়ুন: চলতি সপ্তাহের শেষেই ফিরছে দুঃসহ জ্বালা! তাপমাত্রার পারদ ফের ছাড়িয়ে যাবে ৪০ ডিগ্রি…কোন কোন জেলায় দুঃসহ যন্ত্রণা?

বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং উজ্জ্বল ভুঁইয়ার বেঞ্চ জানায়, ‘‘সমন জারি করার পরে হাজির হওয়া অভিযুক্তকে ইডি যদি গ্রেফতার করতে চায়, তাহলে ইডির আধিকারিকদের বিশেষ আদালতে এই সংক্রান্ত আবেদন করতে হবে৷ অভিযুক্তের বয়ান শোনার পরে সংশ্লিষ্ট বিশেষ আদালত যদি সম্মত হয় যে, অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন, তখন তাকে হেফাজতে নিতে পারবে ইডি৷

সেই সঙ্গে দুই বিচারপতির বেঞ্চের তাৎপর্যপূর্ণ নির্দেশ— ‘‘পিএমএলএ মামলায় অভিযুক্ত যদি সমন মেনে আদালতে হাজিরা দেন, তবে তাঁর আলাদা ভাবে জামিনের আবেদন করার কোনও প্রয়োজন নেই।’’ এ ক্ষেত্রে পিএমএলএ-র ৪৫ নম্বর ধারার জোড়া শর্ত কার্যকরী হবে না বলেও বৃহস্পতিবার জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।

আরও পড়ুন: ‘এবার ওরা হারছে..,’ ২০০-ও পেরবে না বিজেপি, কোন কোন রাজ্যে হারছে…বুঝিয়ে দিলেন মমতা

রায়ে আদালত জানিয়েছে, যদি কোনও অভিযুক্ত বারবার সমন পাওয়া সত্ত্বেও অনুপস্থিত থাকেন, তখন সেক্ষেত্রে, তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ৭০-এর অধীনে জামিনযোগ্য পরোয়াণা জারি করা যেতে পারে৷

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জমানায় কার্যকরী হওয়া সংশোধিত পিএমএলএ আইনে গ্রেফতারি, তল্লাশি, সমন পাঠানো বা নগদ সম্পত্তি আটকের ক্ষেত্রে ইডির হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়া নিয়ে বিভিন্ন নাগরিক সংগঠন সহ অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীদের একাংশ৷ ইডির এই ক্ষমতা সংবিধানের মৌলিক অধিকারের বিরোধী বলেও অভিযোগ উঠেছিল৷

ইডির অধিকাংশ ‘বাড়তি ক্ষমতায়’ সিলমোহর দিলেও পরবর্তী সময়ে দু’টি ক্ষেত্রে ফের ভাবনাচিন্তা করতে রাজি হয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তারই মধ্যে গ্রেফতারি নিয়ে ইডির বাড়তি ক্ষমতা কমিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট৷