কলকাতা: শেখ শাজাহানের কোম্পানি এস কে সাবিনাতে কয়েকশ কোটি টাকা যা ( ১০৪+ ৩৩ কোটি= ১৩৭ কোটি ) টাকা নয়ছয়! শাজাহানের কোম্পানি এস কে সাবিনা ফিশারিজে ১০৪ কোটি টাকা ঢুকেছে ম্যাগনাম এক্সপোর্ট নামে কোম্পানি থেকে , এটা ঢুকেছে ২০২১-২২ এবং ২০২২- ২৩ সালে।
শাহজাহান ঘনিষ্ঠের থেকে শাজাহানের কোম্পানিতে ৩৩ কোটি টাকা ঢোকে ২০১৮-১৯ এবং ২০১৯-২০ সালে। মোট ১৩৭ কোটি টাকা কোথা থেকে কি জন্য ঢুকেছিল কোম্পানিতে? এতো কোটি কোটি লেনদেন মধ্যে কালো টাকা সাদা হত? এই ঘটনার তদন্তে ইডি। শেখ শাজাহানের সিন্ডিকেটের ১১ জন ভুয়ো মাছ ব্যাবসায়ীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট কন্ট্রোল ও ম্যানেজ করতো শেখ শাজাহান নিজেই – এমনটাই ED সূত্রে খবর।
শাজাহানের নির্দেশেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতে কত টাকার লেনদেন হবে তা নির্ধারিত হতো। শাজাহানের নির্দেশেই সিন্ডিকেটের ভুয়ো মাছ ব্যবসায়ীদের নামে জমি কেনা হতো। ওই বেনামি প্রপার্টির আসল মালিক শেখ শাহাজান। শাজাহান কীভাবে টাকা নয়ছয় করতেন? ইডির দাবি, আদিবাসীদের বিভিন্ন ভেড়ি , জমির ছিনিয়ে নিয়ে শাহাজাহানকে জমি ব্যাবহার করতে দিত নাগদ টাকার বিনিময়ে। কিন্তু ওই টাকা সরাসরি শাহাজাহান নিত না।
পাশাপাশি ভুয়ো চিংড়ি মাছ সাপ্লায়ারদের সিন্ডিকেটকে ওই জমি ব্যবহারকারী টাকা দিয়ে দিতেন। এরপর মাছ ভুয়ো সাপ্লায়রদের থেকে মাছ কিনতো শাজাহান এর কোম্পানি ( S K sabina fishary )। এর বদলে ওই টাকা ভুয়ো চিংড়ি মাছ ব্যাবসায়ীরা এসকে সাবিনা কোম্পানি মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করে কোম্পানি অ্যাকাউন্টে ঢুকত। আসলে ওই টাকার কন্ট্রোল ছিল শাজাহানের । জমি হাতিয়ে কালো টাকা অনায়াসে সাদা করে হাতিয়ে নিত শাজাহান।
ইডি সূত্রে খবর প্রায় ১১ জন ভুয়ো চিংড়ি সাপ্লাইর এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত আছে এবং এই ১১ জনের নামে জমি আছে যা আসলে শাহজাহানের । এই ১১ জনকে ইডির তরফে চিহ্নিত করা গেছে । 11 জনের নামের লিস্ট রয়েছে ইডির কাছে। শেখ শাহজাহানকে হেফাজতে নিয়ে এই ১১ জনের বিষয়ে আরো তথ্য পাওয়া যাবে বলে দাবি ইডির।
ARPITA HAZRA