'এসমা' প্রয়োগ চান না মমতা

ESMA-RG Kar Case: মমতা চান না জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে ‘এসমা’ প্রয়োগ করতে! কী এই ‘এসমা’? কী হয় জারি করলে?

কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি এখনও চলছে। প্রথমে নবান্ন, আর শনিবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনের বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর স্বাভাবিক ভাবেই নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে, কবে কাটবে এই অচলাবস্থা? দু পক্ষই অবশ্য এখনও আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজতে সচেষ্ট।
কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি এখনও চলছে। প্রথমে নবান্ন, আর শনিবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনের বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর স্বাভাবিক ভাবেই নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে, কবে কাটবে এই অচলাবস্থা? দু পক্ষই অবশ্য এখনও আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজতে সচেষ্ট।
জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বরাবরই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সূত্র বের করার পক্ষপাতী মুখ্যমন্ত্রী। আগেও একাধিক বার, এমনকী শনিবার দুপুরে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনাস্থলে উপস্থিত হয়েও মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলেছেন, তিনি ডাক্তারদের বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবেন না। সেই সূত্রেই তাঁর মুখেও উঠে এসেছে, এসমা আইনের প্রসঙ্গ। অন্য রাজ্যের উদাহরণ টেনে তিনি জানিয়েছেন, এ রাজ্যে ডাক্তারদের বিরুদ্ধে এমন কোনও আইন প্রয়োগ করতে চায় না রাজ্য সরকার।
জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বরাবরই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সূত্র বের করার পক্ষপাতী মুখ্যমন্ত্রী। আগেও একাধিক বার, এমনকী শনিবার দুপুরে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনাস্থলে উপস্থিত হয়েও মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলেছেন, তিনি ডাক্তারদের বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবেন না। সেই সূত্রেই তাঁর মুখেও উঠে এসেছে, এসমা আইনের প্রসঙ্গ। অন্য রাজ্যের উদাহরণ টেনে তিনি জানিয়েছেন, এ রাজ্যে ডাক্তারদের বিরুদ্ধে এমন কোনও আইন প্রয়োগ করতে চায় না রাজ্য সরকার।
কিন্তু এই 'এসমা' কী? কোন কোন ক্ষেত্রে, কোন কোন পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োগ করা যায় এই আইন? এক কথায়, এসমা হল-এসেনশিয়াল সার্ভিস মেন্টেন্যান্স অ্যাক্ট।
কিন্তু এই ‘এসমা’ কী? কোন কোন ক্ষেত্রে, কোন কোন পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োগ করা যায় এই আইন? এক কথায়, এসমা হল-এসেনশিয়াল সার্ভিস মেন্টেন্যান্স অ্যাক্ট।
মূলত চিকিৎসা, পরিবহণ, বিদ্যুৎ সরবরাহের মতো জরুরি পরিষেবা ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিলে বা বিপর্যস্ত হয়ে উঠলে, সেই পরিস্থিতির মোকাবিলায় কর্মবিরতি, ধর্মঘট নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে কর্মচারীদের ওভারটাইম কাজ করতেও বাধ্য করতে পারে প্রশাসন।
মূলত চিকিৎসা, পরিবহণ, বিদ্যুৎ সরবরাহের মতো জরুরি পরিষেবা ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিলে বা বিপর্যস্ত হয়ে উঠলে, সেই পরিস্থিতির মোকাবিলায় কর্মবিরতি, ধর্মঘট নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে কর্মচারীদের ওভারটাইম কাজ করতেও বাধ্য করতে পারে প্রশাসন।
১৯৬৮ সালে তৈরি আইনটি ১৯৮১ সালে সংশোধন করা হয়েছিল। কোনও সরকার এই আইন জারি করলে, এই আইন যারা লঙ্ঘন করেন, তাদের ছ' মাস পর্যন্ত জেল হতে পারে। অন্য দিকে কাজে বাধা, কাজ বন্ধ রাখতে উৎসাহিত করলে শাস্তি দ্বিগুণ, অর্থাৎ এক বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।
১৯৬৮ সালে তৈরি আইনটি ১৯৮১ সালে সংশোধন করা হয়েছিল। কোনও সরকার এই আইন জারি করলে, এই আইন যারা লঙ্ঘন করেন, তাদের ছ’ মাস পর্যন্ত জেল হতে পারে। অন্য দিকে কাজে বাধা, কাজ বন্ধ রাখতে উৎসাহিত করলে শাস্তি দ্বিগুণ, অর্থাৎ এক বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।
মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া (রেগুলেশনস, ২০০২)-র ২ নম্বর ধারা অনুযায়ী, কোনও অবস্থাতেই চিকিৎসকেরা মূমূর্ষু রোগীকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করতে পারেন না। চিকিৎসা, পরিবহণ, বিদ্যুৎ সরবরাহের মতো জরুরি পরিষেবার মতো ক্ষেত্রে এই আইন জারি করা যায়।
মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া (রেগুলেশনস, ২০০২)-র ২ নম্বর ধারা অনুযায়ী, কোনও অবস্থাতেই চিকিৎসকেরা মূমূর্ষু রোগীকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করতে পারেন না। চিকিৎসা, পরিবহণ, বিদ্যুৎ সরবরাহের মতো জরুরি পরিষেবার মতো ক্ষেত্রে এই আইন জারি করা যায়।
প্রসঙ্গত, দু’বছর আগে ওড়িশায় স্বাস্থ্য কর্মী ও নার্সদের ধর্মঘটের কারণে একই রকম পরিস্থিতি হয়েছিল। সেই সময়ে নবীন পট্টনায়েক সরকার এসমা প্রয়োগ করেছিলেন। তবে, এ রাজ্যের সরকারি কর্তাদের মতে, ওড়িশার পরিস্থিতির সঙ্গে বাংলার অবস্থার তুলনা চলে না। আরজি করের ঘটনা নিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ ও প্রতিবাদ সঙ্গত। সরকার তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসে কাজের পরিবেশ ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে প্রস্তুত। তবে, তাঁরা এমনও বলছেন, লাগাতার এ ধরনের কর্মবিরতি কোনও সরকারের পক্ষেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত, দু’বছর আগে ওড়িশায় স্বাস্থ্য কর্মী ও নার্সদের ধর্মঘটের কারণে একই রকম পরিস্থিতি হয়েছিল। সেই সময়ে নবীন পট্টনায়েক সরকার এসমা প্রয়োগ করেছিলেন। তবে, এ রাজ্যের সরকারি কর্তাদের মতে, ওড়িশার পরিস্থিতির সঙ্গে বাংলার অবস্থার তুলনা চলে না। আরজি করের ঘটনা নিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ ও প্রতিবাদ সঙ্গত। সরকার তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসে কাজের পরিবেশ ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে প্রস্তুত। তবে, তাঁরা এমনও বলছেন, লাগাতার এ ধরনের কর্মবিরতি কোনও সরকারের পক্ষেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।