এই ফল পুষ্টিগুণ ও ঔষধি গুণের জন্য পরিচিত। এটি এমন একটি গাছ যার শুধু ফল নয়, ফুল, পাতা ও বাকলও ঔষধি গুণে ভরপুর। তবে সেভাবে প্রচার না থাকার ফলে বেশির ভাগ মানুষ শুধু এর ফলই খান। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর পাতা, ফুল ও বাকল এই ফলের মতোই উপকারী। ঔষধি উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞ রবিকান্ত পান্ডে এই ফলের প্রতিটি অংশের ব্যবহার এবং সমস্ত ঔষধি গুণ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করেছেন।রবিকান্তের মতে, ফসফরাস, চিনি, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, আয়রন এবং ভিটামিন সি সহ আরও অনেক পুষ্টি উপাদান আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ।দাঁতে ব্যথায় মহৌষধি এই গাছের বাকলের নির্যাস৷ এই দিয়ে বের করে তা দিয়ে গার্গল করুন। কয়েকদিনের মধ্যেই গোড়া থেকে নড়তে থাকা দাঁতে নতুন প্রাণ আসতে শুরু করবে!যদি আপনার হাড় দুর্বল হয় বা আপনি হাড়ের ব্যথায় ভোগেন, তাহলে এই ফল খাওয়া আপনার সমস্যার একটি প্রাকৃতিক সমাধান হতে পারে। আপনি যদি জিমে যান এবং আপনার পেশী বিকাশের কথা ভাবছেন, তাহলে এই ফল আপনার জন্যও একটি ভাল বিকল্প হতে পারে। যেহেতু এটি ক্যালসিয়ামের একটি ভাল উৎস, তাই আপনি এটি সরাসরি গরুর দুধের সঙ্গেও খেতে পারেন।এতে পাওয়া অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। এটি পেটের কৃমি মারতে সহায়ক এবং পেট পরিষ্কার রাখে৷ মানুষ এটি প্রায়ই পুডিং, ক্বাথ এবং রুটি আকারে ব্যবহার করে।এপ্রিল মাসে, গাছ থেকে হলুদ-সাদা রঙের রসালো ফুল ফোটা শুরু হয়, যা গ্রামীণ এলাকায় দুধের সঙ্গে ব্যাপকভাবে খাওয়া হয়। এই গাছটি মহুয়ার৷ অনেকেই এই বিষয়ে জানেন না, কিন্তু এটা খুবই উপকারী এই গাছের ফল, ফুল, পাতা এমনকী বাকলও৷Disclamer: এই মতামত News18বাংলার নিজস্ব মত নয়৷ প্রচলিত ধারণার ভিত্তিতেই এই প্রতিবেদন৷ সঠিক ফল পেতে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন৷
