লালমোহন 

Sweet: কিশোর থেকে হেমন্ত, সকলেই প্রেমে পড়েছিলেন ফুলবাড়ির লালমোহনের…! জানুন ইতিহাস

শিলিগুড়ি: শিলিগুড়ি শহরের ‘ফুলবাড়ি’ নামক জায়গায় ‘লালমোহন’ বছরের পর বছর বাজিমাত করে চলেছে। আজ থেকে প্রায় ৭২ বছর আগে দেশভাগের সময় ময়মনসিংহ থেকে আসা মনীন্দ্রনাথ ঘোষ এই ‘লালমোহন’ নামক মিষ্টির জন্ম দেন। এই লালমোহন নামটা অবশ্য তারই দেওয়া। লালচে রঙা মিষ্টির স্বাদের কোনও তুলনা হয় না। ৭২ বছর আগে তৈরি ফুলবাড়ি মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের লালমোহনের স্বাদ আজও একইরকম রয়েছে।

ছানার সঙ্গে ময়দা, ক্ষীর মিশিয়ে ভাল করে মেখে গোল-গোল করে তেলে ভেজে চিনির শিরায় ডুবিয়ে তৈরি হয় ফুলবাড়ির বিখ্যাত লালমোহন মিষ্টি।এই লালমোহন রসে চোবানো, গোল-গোল, চেহারায় অনেকটা যেন গোলাপজামুনের তুতোভাই। এতটাই নরম যে জিভের সঙ্গে পরিচয় হলেই মিষ্টি গলে জল হয়ে যায়। স্বাদে স্বর্গীয় অনুভূতি।

আরও পড়ুনঃ ভাঙা হাড় জোড়ে! অমূল্য এই গাছ আলসার সারায় ম্যাজিকের মতো, আজই খুঁজে বাড়িতে আনুন

শহুরে মিষ্টির ইতিহাসে যাকে পান্তুয়া বলে হইচই করা হয়। এই দোকানের মিষ্টির স্বাদ চেখে দেখেছেন হেমন্ত কুমার মুখোপাধ্যায় থেকে কিশোর কুমারের মতো ব্যাক্তিত্ববৃন্দ। দোকানের অটোগ্রাফ খাতায় নামী ব্যক্তিত্বদের নামের ছড়াছড়ি। মনীন্দ্রনাথ ঘোষের ছেলে রতন কুমার ঘোষ এখন এই দোকান সামলাচ্ছেন। তিনি বলেন, তার বাবা এই মিষ্টির সূচনা করেছিলেন, তারপর থেকে লোকমুখে প্রচার হতে হতে সমস্ত জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে।

কিশোর কুমার, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়-সহ বহু নামই ব্যক্তিত্ব তার দোকানের মিষ্টি খেয়ে গেছেন। সকলেই মিষ্টি খেয়ে এর গুণগান করে গেছেন। মান্না দে শিলিগুড়িতে প্রোগ্রাম করতে এসে এখানকার মিষ্টির খ্যাতির কথা শুনে অনেকগুলো লালমোহন খেয়ে প্রশংসা তো করেইছিলেন এমনকি, অর্ডার দিয়ে মুম্বইতেও নিয়ে গিয়েছিলেন। স্থানীয় রমজান আলি জানান, এই মিষ্টি অন্য কোথাও ভাবে না। আমাদের এখানে যারাই আসে আমি তাদেরই এই দোকানের মিষ্টি খাওয়াতে নিয়ে আসি।

অনির্বাণ রায়