সেই সময়েই জলের তোড়ে টাল সামলাতে না পেরে ভেসে তিনি। যদিও এখন ও মৃতদেহের খোঁজ মেলেনি। কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল ভেসে যাওয়া যুবকের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। প্রতীকী ছবি৷

Hooghly news: হুগলিতে সাঁতার শিখতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি, বাবার বেপরোয়া মনোভাবের মাশুল দিল ছোট্ট ছেলে?

সোমনাথ ঘোষ, চুঁচুড়া: সাঁতার শেখাতে সাত বছরের ছেলেকে নিয়ে পুকুরে নেমেছিলেন বাবা৷ অভিযোগ মদ্যপ অবস্থাতেই পুকুরে নেমেছিলেন তিনি৷ শেষ পর্যন্ত জলে ডুবে মৃত্যু হল বাবা-ছেলে দু জনেরই৷ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে হুগলির চুঁচুড়ার কৃষ্ণপুর এলাকায়৷
জানা গিয়েছে, মৃত দু জনের নাম গোবিন্দ নাগ (৩২) এবং তাঁর ছেলে গৌরব নাগ (৭)৷ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়৷

স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকায় ভাল রাঁধুনি হিসেবে পরিচিত ছিলেন গোবিন্দ নাগ নামে ওই যুবক৷ হুগলি স্টেশনের কাছে রবীন্দ্র নগরের কালিতলায় স্ত্রী এবং ছেলেকে নিয়ে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তিনি৷ মঙ্গলবার বিকেল চারটে নাগাদ কাজ থেকে ফিরে গৌরবকে সাঁতার শেখাতে এলাকার একটি পুকুরে নিয়ে যান গোবিন্দ৷ সেই সময় পুকুর পাড়ে থাকা বেশ কয়েকজনও দু জনকে পুকুরে নামতে দেখেন৷

আরও পড়ুন: ইস্তানবুলের পানশালায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে জীবন্ত দগ্ধ ২৯, বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা

কিন্তু সন্ধে পেরিয়ে গেলেও ছেলেকে নিয়ে গোবিন্দ বাড়ি না ফেরায় তাঁর স্ত্রী এবং প্রতিবেশীরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন৷ তখনই দেখা যায়, পুকুর পাড়ে গোবিন্দ এবং গৌরবের জুতো ও গামছা পড়ে রয়েছে৷ তা দেখেই সন্দেহ হয় স্থানীয়দের৷ এলাকার কয়েকজন বাসিন্দাই প্রথমে পুকুরে নেমে তল্লাশি শুরু করে৷ খবর দেওয়া হয় চুঁচুড়া থানায়৷

নিখোঁজ দু জনের খোঁজে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ডুবুরিদের পুকুরে নামানো হয়৷ শেষ পর্যন্ত রাত এগারোটা নাগাদ গোবিন্দ নাগ এবং তাঁর ছেলে গৌরবের দেহ ওই পুকুর থেকে উদ্ধার হয়৷ দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ৷ এলাকার কয়েকজনের অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থাতেই ছেলেকে নিয়ে পুকুরে নেমেছিলেন গোবিন্দ৷