তিন গোল হজম, গোয়ার মাঠে লজ্জার হার ফেরান্ডোর এটিকে মোহনবাগানের

এফ সি গোয়া – ৩
এটিকে মোহনবাগান – ০

#গোয়া: দীর্ঘ বিরতির পর রবিবার আবার আইএসএলে খেলতে নেমেছিল এটিকে মোহনবাগান। অন্যদিকে নিজেদের শেষ ম্যাচে কেরলের কাছে হারের পর ঘরের মাঠে নেমেছিল গোয়া। বিশ্বকাপের আবহে রবিবার এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ‘স্পেশাল ম্যাচ’ ছিল এটিকে মোহনবাগানের। গত ডিসেম্বরে স্প্যানিশ কোচ হুয়ান ফেরান্দো গোয়া ছেড়ে নাম লেখান সবুজ-মেরুনে।

তাছাড়া গত দুই মরশুমে গোয়ার দলটির বিরুদ্ধে অপরাজিত সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। সেই রেকর্ড অক্ষত রাখার তাগিদ ছিল রবিবার। লিস্টন কোলাসো ও মনবীর সিং গোয়ার রক্ষণভাগের দুর্বলতা কাজে লাগাতে পারলে মোহনবাগানের জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল। এবার গোয়া পাঁচটি ম্যাচে ৯টি গোল করেছিল আজকের আগে পর্যন্ত।

মরক্কোর নোয়া ছন্দে ছিলেন। মাঝ মাঠে গোয়ার এডু বেদিয়া ছিলেন অন্যতম ভরসা। এছাড়া ব্র্যান্ডন এবং স্প্যানিশ স্ট্রাইকার ইকার গোয়ার অন্যতম সম্পদ।ম্যাচের প্রথম থেকেই দাপট ছিল গোয়ার। বিশেষ করে মাঠের মাঝখানে গোয়ার ফুটবলাররা একেবারেই বল ধরতে দিচ্ছিলেন না মোহনবাগান ফুটবলারদের। হুগো বুমু, জনি, লিস্টনদের দূরবীন দিয়ে খুঁজতে হচ্ছিল।

দ্বিতীয়ার্ধে মনে হয়েছিল হয়তো পরিবর্তন ঘটাবে মোহনবাগান। কিন্তু কোথায় কি? ৫০ মিনিটে দুর্দান্ত গোল করে গেলেন গোয়ার আইবান। আসিসকে গতিতে পরাস্ত করে টপ নেট ফিনিশ করেন। ৬০ মিনিটে চোট পেয়ে বেরিয়ে যেতে হয় বাগানের জনিকে। নিয়ে আসতে হয় কার্ল এবং আসিককে।

৭৫ মিনিটে কর্নার থেকে সিরিয়ার ফারেস দ্বিতীয় গোল করেন গোয়ার হয়ে। এখানেই আশা শেষ হয়ে গিয়েছিল মোহনবাগানের। ৮৩ মিনিটে মোহনবাগানের লজ্জা বাড়ালেন মরক্কোর নোয়া। দূরপাল্লার শটে ৩-০ করে দিলেন। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন গোয়ার ডিফেন্ডার আনোয়ার আলি। ম্যাচে ছটি হলুদ কার্ড দেখানো হয়। তবে এই হার মোহনবাগানের কাছে বড় ধাক্কা তাতে সন্দেহ নেই।