#দোহা: আট বছর পরে আবার ফুটবল বিশ্বকাপে দেখা যাবে কমলা ঝড়।২০১৪ সালে তৃতীয় স্থানে শেষ করা নেদারল্যান্ডস, ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি তারা। তবে থেমে গেলে বিরুদ্ধে আজকে কমলা জার্সিতে দেখা যাবে না নেদারল্যান্ডস দলের প্রধান স্ট্রাইকার মেমফিস ডিপেকে। হ্যামস্ট্রিং চোট রয়েছে তার। খুব গুরুতর না হলেও প্রথম ম্যাচ তাকে খেলিয়ে ঝুঁকি নেবে না নেদারল্যান্ডস। কারণ একটু বিশ্রাম পেলে তিনি সুস্থ হয়ে যাবেন।
২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে কোচ লুইস ভ্যান গালকে এবারেও দেখা যাবে নেদারল্যান্ডসের বেঞ্চে। কাতার বিশ্বকাপে তিনিই ভরসা নেদারল্যান্ডসের। দলের অধিকাংশ ফুটবলারেরই বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা নেই। এটাই একমাত্র চিন্তা ডাচদের। যোগ্যতা অর্জন পর্বে গ্রুপের সেরা হয়ে কাতারের টিকিট পেয়েছিল নেদারল্যান্ডস।
আরও পড়ুন – বুটের ইতিকথা! নিজেদের শেষ বিশ্বকাপে কোন বুট পায়ে খেলবেন মেসি, রোনাল্ডো ? জেনে নিন
ছন্দে রয়েছেন উট উইঘর্স্ট, ভ্যান ডাইক, ফ্রেঙ্কি ডি জংরা। তিন বার বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলেও এক বারও জিততে পারেনি ডাচরা। এবার অন্যতম ফেভারিট হিসাবেই খেলতে নামবে তারা। অধরা বিশ্বকাপ এ বার ধরার চেষ্টা করবেন তারা। উয়েফা নেশনস লিগে টানা ছয় ম্যাচ অপরাজিত থেকে কাতারে নামবে নেদারল্যান্ডস।
বিশ্বকাপ জয়ের লক্ষ্যেই ২০২১ সালের অগস্টে ভ্যান গালের হাতে তৃতীয় বারের জন্য জাতীয় দলের দায়িত্ব তুলে দিয়েছে ডাচ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন।যাতে কাতার বিশ্বকাপের আগে ভাল মত নিজের দলকে বুঝতে পারেন তিনি।এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম অভিজ্ঞ কোচ তিনিই। মূলত ৪-৩-৩ ছকে আগ্রাসী ফুটবলই তাঁর পছন্দ। ৭১ বছরের কোচ তেমন বড় কোনও পরিবর্তন করেননি দলে। শুধু কিছু কৌশলগত পরিবর্তন করেছেন।
TEAM GUIDE : ????
Senegal ?? VS Netherlands ?? #GTVSports #FIFAWorldCup2022 pic.twitter.com/SEn77YHRLm
— GTV SPORTS+ (@mygtvsports) November 21, 2022
মাঝ মাঠে বার্সেলোনায় খেলা ডি জংয়ের উপর ভরসা করে নামছে ডাচরা।মাঝমাঠে তিনিই তৈরি করেন দলের খেলা। ২৫ বছরের ফুটবলারের সব থেকে বড় গুণ পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে পারার ক্ষমতা। তাই তাঁর উপর অনেকটাই নির্ভর করেন কোচও। রক্ষণ ভাগের ফুটবলাররা ডি জংকেই প্রথম বল দেন। তিনি নেতৃত্ব দেন পরিকল্পিত আক্রমণ তৈরির।
মাঝমাঠ থেকে পাঁচ-ছ’টা পাস খেলে বিপক্ষের বক্সে পৌঁছে যায় নেদারল্যান্ডস।আর এভাবেই এই বিশ্বকাপে সাফল্যের খোঁজে হল্যান্ড কোচ। দুই সেন্ট্রাল ডিফেন্স তাদের পক্ত। ভান ডাইক এবং ডি লাইটর উপর ডিফেন্সের সমস্ত দায়িত্ব থাকবে। ক্লাব ফুটবলে এই দুই খেলোয়াড় নিজেদের জাত চিনিয়েছেন ইতিমধ্যেই।
অন্যদিকে বিশ্বকাপের ঠিক আগেই দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় সাদিও মানেকে হারিয়ে চিন্তায় সেনেগাল দল। আফ্রিকান নেশনস কাপ জয়ী এই দলটির প্রধান ভরসা ছিলেন এই বায়ার্ন মিউনিখ খেলোয়াড়টি। গ্রুপ এ তে দ্বিতীয় দল হিসেবে সেনেগালের সুযোগ ছিল পরের রাউন্ডের জন্য কোয়ালিফাই করার।
তাই জন্যই চোট থাকা সত্বেও ২৬জনের দলে নেওয়া হয় মানেকে।কিন্তু পরে তার চোটের পরীক্ষা করে দেখা হলে দেখা যায় যে তার চোট গুরুতর। সহজ এই গ্রুপে কাতার এবং একুয়েডরের সাথে জিতলেই পরবর্তী রাউন্ড কোয়ালিফাই করে যাবে সেনেগাল দল।
তাই গ্রুপের একমাত্র শক্তিশালী দল ডাচদের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র ড্র নিয়েই খুশি থাকতে চায় আফ্রিকান এই দলটি। গোলের দায়িত্ত্ব থাকবে চেলসি গোলরক্ষক মেন্ডীর উপর। ডিফেন্সে কৌলিবালি দলের প্রধান ভরসা। মানের অনুপস্থিতিতে ইসমাইলা সার দলের আক্রমণ ভাগের দায়িত্বে থাকবেন।