#দোহা: মধ্যপ্রাচ্যের অত্যন্ত রক্ষণশীল দেশ হিসেবেই পরিচিত কাতার। কয়েকদিন আগেই তারা জানিয়ে দিয়েছে স্বামী স্ত্রী ছাড়া অন্য ক্ষেত্রে যৌনতা নিষিদ্ধ। ধরা পড়লে জেল পর্যন্ত হতে পারে। তাছাড়া অ্যালকোহল পলিসি নিয়ে নতুন করে নিয়ম জারি হচ্ছে বিশ্বকাপে। শাপ মরবে অথচ লাঠিও ভাঙবে না এমন কিছু চাইছে ফিফা। কারণ এর সঙ্গে বিরাট আর্থিক চুক্তি যুক্ত।
নভেম্বরে কাতারে বসছে ফুটবল বিশ্বকাপের আসর। ৯২ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও মুসলিম অধ্যুষিত দেশে হবে ফিফা বিশ্বকাপ। কাতারে মদ বিক্রি হয়। তবে প্রকাশ্যে মদ্যপানে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ফিফা ও বিশ্বকাপের আয়োজকদের পা ফেলতে হচ্ছে অনেক ভেবেচিন্তে। মাথায় রাখতে হচ্ছে ফুটবলপ্রেমীদের সুরাপ্রেম থেকে স্পনসরের জটিলতাও।
কাতারে বিভিন্ন ক্রীড়াক্ষেত্রের বড় বড় ইভেন্ট হয়ে থাকে। তার মধ্যে অন্যতম ছিল ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপ। তখনও বিশেষ অ্যালকোহল পলিসি তৈরি করা হয়েছিল। ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপের সময় সুরাপ্রেমীদের জন্য ড্রিঙ্কিং জোন তৈরি করা হয়েছিল দোহার কাছেই একটি গল্ফ ক্লাবে।
Football spectators may have to get used to the idea of no beer during World Cup matches ?https://t.co/OJ4GQxbhC6
— DW News (@dwnews) July 8, 2022
সেখানে মাত্র ৬ ডলার খরচ করতেই মিলেছিল বিয়ার, যার দাম শহরের নামী হোটেলগুলির তুলনায় অনেকটাই কম ছিল। এবারও সেই একই জায়গাতেই ড্রিঙ্কিং জোন তৈরির ভাবনা রয়েছে। নভেম্বরের ২১ তারিখ থেকে শুরু হবে বিশ্বকাপ, চলবে ১৮ ডিসেম্বর অবধি। ফিফা ও আয়োজকদের আশা, ১২ লক্ষ দর্শক কাতারে যাবেন ৩২ দলের বিশ্বকাপ দেখতে।
ফিফার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ওই মদ প্রস্তুতকারী সংস্থা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ফিফা বিশ্বকাপে দর্শকাসনে বসে ফুটবলপ্রেমীরা বুডউইজার জিরো ও বুডউইজার পান করতে পারবেন। এতেই মনে করা হচ্ছে, দর্শকাসনে নন-অ্যালকোহলিক পানীয় পান করতে হবে ফুটবলপ্রেমীদের।
তবে স্টেডিয়ামে ঢোকার আগে বা পরে মদ কিনতে পারবেন সকলেই, কিন্তু মাঠে বসে অ্যালকোহল পান করা যাবে না। ড্রিঙ্কিং কন্টেনারের ব্র্যান্ডিং কীভাবে হবে তা নিয়েও ভাবনাচিন্তা চালাচ্ছে ফিফা। টিভি সম্প্রচারের সময় সেই কন্টেনারগুলি হাতে দেখা যাবে দর্শকদের, সেইমতো নিয়মকানুন মেনেই যাবতীয় পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে কাতারের ধার্মিক বিশ্বাসে আঘাত না লাগে এবং স্পন্সরদেরও ব্যবসায় ক্ষতি গ্রহণ করতে না হয় সেটাই দেখছে ফিফা।