বুধবার অনুপস্থিত থাকলেই 'শোকজ'! বিজেপির ডাকা বনধের পরে নির্দেশিকা অর্থ দফতরের

State Government Employee Must Attendance: বুধবার অনুপস্থিত থাকলেই ‘শোকজ’! বিজেপির ডাকা বনধের পরে নির্দেশিকা অর্থ দফতরের

কলকাতা: আগামিকাল রাজ্যে বনধ হবে না, জানিয়ে দিয়েছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার রাজ্যের অর্থ দফতর থেকেও এল নির্দেশিকা। সরকারি কর্মীদের কেউ যদি বুধবার অনুপস্থিত থাকেন তাহলে তাঁকে শোকজ করা হবে। আজ যাঁরা ছুটিতে আছেন, কাল তাঁদের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মর্মে এক বিবৃতি জারি করা হয়েছে রাজ্যের অর্থ দফতর থেকে।

আরও পড়ুন- বনধ হবে না রাজ্যে, বাংলাকে সচল রাখতে হবে! সাফ জানালেন আলাপন

বুধবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধের ডাক দিয়েছিল বিজেপি৷ এ দিন নবান্ন অভিযানের পর এই ঘোষণা করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷ বনধকে সর্বাত্মক করার আহবান জানিয়েছেন তিনি৷ যদিও সেই আহ্বান নস্যাৎ করে আলাপন জানালেন, সরকার এই বন্ধ মানবে না। আগামিকাল সারা রাজ্যে জনজীবন স্বাভাবিক থাকবে বলেই ঘোষণা আলাপনের।

আরও পড়ুন- মমতার কালীঘাটের বাড়ির পাহারায় বিশাল পুলিশবাহিনী! বন্ধ রাস্তা, আক্রমণের উপায় নেই

বুধবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত বাংলা বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি৷ নবান্ন অভিযানে সাধারণ মানুষের উপর পুলিশের লাঠিচার্জ এবং বলপ্রয়োগের প্রতিবাদে এই বনধ। যদিও আলাপনের নির্দেশ, সরকারি কর্মীদের আগামিকাল অফিসে আসতেই হবে। দোকানপাটো থাকবে খোলা। তাঁর কথায়, “সরকার নিরাপত্তা, আইনানুগ ব্যবস্থা করবে। ক্ষতি হলে সরকার সেদিকটাও দেখবে।”

আজ মঙ্গলবার যেমন নেট পরীক্ষা ছিল, আগামিকালও সকাল ৯’টা থেকে ১২টা ও দুপুর ৩টে থেকে ৬টা দুটি ধাপে ইউজিসি নেট পরীক্ষা আছে। ইকোনমিকস সহ একাধিক বিষয়ের পরীক্ষা রয়েছে বুধবার। এ নিয়েও চিন্তা প্রকাশ করেন আলাপন।

আলাপন বলেন, “আজ সারাদিন ধরে রাজ্যে দফায় দফায় অশান্তির চেষ্টা হয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে ছাত্রদের প্রতি সহমর্মিতা আছে। সিবিআই-এর কাছে তদন্ত ভার আছে। কিন্তু আজ মহানগরকে ও কাল বাংলাকে স্তব্ধ করার যে চেষ্টা, তা অসমর্থন যোগ্য।” এর পরই তিনি জানিয়ে দেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার জানাচ্ছে যে আগামিকাল বনধ মানা হবে না।

আলাপন বলেন, “সকলকে অনুরোধ বনধ মেনে নেবেন না। বনধ তথা আন্দোলনের নামে সাধারণ মানুষের জনজীবন স্তব্ধ করা বেআইনি। রাজ্য সরকারের সব দফতর খোলা থাকবে। কারও কোনও ক্ষতি হলে সরকার দেখবে। প্রাইভেট বাস-সহ সবার প্রতি অনুরোধ থাকবে। বাংলা কে সচল রাখতে হবে। পুলিশ আজ যথা সাধ্য শান্ত থাকছে। কাল জনজীবন স্বাভাবিক থাকবে।”