অতীতে এই মাছ আদান-প্রদানের ফলে ভারত বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কেরও উন্নতি ঘটে। তবে বর্তমানে বাংলাদেশের এই সমস্যার কারণে পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই, ত্রিপুরাতেও ইলিশের আকাল দেখা গিয়েছে।

Hilsa: ইলিশের টানে সমুদ্রে গিয়ে বিপদ! ঢেউয়ের ধাক্কায় বেসামাল ট্রলার, তার পর…

বিশ্বজিৎ হালদার, কাকদ্বীপ: সমুদ্রে এখন ইলিশ মাছের মরশুম৷ প্রতিদিনই মাছ ধরতে নামখানা, কাকদ্বীপ, ডায়মন্ড হারবারের মতো দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার বিভিন্ন এলাকা থেকে গভীর সমুদ্রে পাড়ি দিচ্ছে মাছ ধরার অসংখ্য ট্রলার৷

আর সেই ইলিশের মাছ ধরতে গিয়েই মাঝ সমুদ্রে ঘটে গেল বড়সড় বিপত্তি৷ উত্তাল সমুদ্রে ঢেউয়ের দাপটে ট্রলার থেকে পড়ে গেলেন চার জন মৎস্যজীবী৷ তাঁদের মধ্যে তিনজনকে উদ্ধার করা গেলেও জলে তলিয়ে যান একজন৷ নিখোঁজ ওই মৎস্যজীবীর নাম গোপাল মণ্ডল৷ তিনি সুন্দরবন উপকূল থানা এলাকার ঝড়খালির বাসিন্দা৷

আরও পড়ুন: ১৪ বছরের বোনকে দিয়ে এমন কুকীর্তি! খবর পেয়েই দিদিকে গ্রেফতার করল পুলিশ, ধৃত মোট ৬

জানা গিয়েছে, গত ২৬ জুলাই কুলতলির সানকিজাহান ঘাট থেকে মাছ ধরতে রওনা দিয়েছিল মা অষ্ঠমী নামে একটি ট্রলার। ওই ট্রলারে মোট ১৫ জন মৎস্যজীবী ছিলেন। ২৭ তারিখ ভোরের দিকে কেঁদোদ্বীপের কাছে মাছ ধরছিলেন ওই ট্রলারের মৎস্যজীবীরা৷ তখনই হঠাৎ উত্তাল হয়ে ওঠে সমুদ্র৷ প্রবল ঢেউয়ের ধাক্কায় বেসামাল হয়ে যায় ট্রলারটি৷ তখনই

অসবাধনতাবশত ট্রলার থেকে জলে ছিটকে পড়েন চার জন মৎস্যজীবী৷
সঙ্গে সঙ্গে আশেপাশে থাকা অন্যান্য কয়েকটি ট্রলার এবং ওই ট্রলারের বাকি মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে পড়ে যাওয়া চারজনকে উদ্ধারের চেষ্টা শুরু করেন৷ বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় তিন জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও সমুদ্রে তলিয়ে যান গোপাল৷ দীর্ঘক্ষণ তার খোঁজে তল্লাশিও চালান মৎস্যজীবীরা৷ যদিও নিখোঁজ মৎস্যজীবীর খোঁজ মেলেনি৷ ইতিমধ্যেই মৎস্যজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে উপকূল রক্ষী বাহিনী ও প্রশাসনের নজরে আনা হয়েছে বিষয়টি।